ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জয়পুরহাটে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম

  জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:২১

জয়পুরহাটে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম
জয়পুরহাটে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম

দিন যতই যাচ্ছে শীতের প্রকোপ বাড়ছে উত্তরের জেলা জয়পুরহাটে। ভোরের হালকা কুয়াশা আর মিষ্টি শীতের অনুভবটা যেন প্রকৃতির এক আশীর্বাদ। ঘুম থেকে উঠে চোখের সামনে কুয়াশা ভেজা মায়াবী এক মিষ্টি সকাল। অন্যদিকে চলছে পিঠা খাওয়ার ধুম।

হরেক রকমের পিঠা-পুলির স্বাদ নিতে দোকানে দোকানে ভিড় করছেন শিশু-কিশোরসহ আবাল বৃদ্ধ-বনিতারা। আর এই সুযোগে পিঠা-পুলির দোকানীরা আয় করছেন বাড়তি কিছু।

জয়পুরহাটে গত কয়েকদিন থেকে কুয়াশা না থাকলেও শীতের প্রকোপটা বেশ ভালোই পড়েছে। এই শীতে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পাকন পিঠা, তেল পিঠাসহ কত রকমের যে পিঠা-পুলির আয়োজন চলছে তার ফিরিস্তি দেয়া ভার।

ছবি ১: জয়পুরহাটে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম

বাড়িঘরে বৌ-ঝি তো বটেই, এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না এখানকার পিঠা-পুলির দোকানীরাও। সারা বছর কম বেশি পিঠা চললেও শীত এলেই বেড়ে যায় ক্রেতাদের আনাগোনা। তাইতো শহরের রেলগেট, বাটারমোড়, পূর্ববাজার, নতুনহাট, হকার্স মার্কেটের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে পিঠা বিক্রি ও খাওয়ার ধুম।

শহরের হকার্স মার্কেটের সামনে পিঠা খেতে আসা রাব্বী হাসান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আগের মত এখন আর বাসায় পিঠা তৈরি হয় না, তাই শহরে পিঠা খেতে এসেছি। এখানকার পিঠা খুব সুস্বাদু এবং দামও কম।

আরেক ক্রেতা মুকুল হোসেন জানান, পিঠা খাওয়ার ইচ্ছে হলে বাসায় তা সব সময় করা সম্ভব হয় না। কিন্তু দোকানে আসলেই নানার ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। আমি সুযোগ পেলেই পিঠা খেতে আসি।

ছবি ২: জয়পুরহাটে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম

শহরের হকার্স মার্কেটের সামনের পিঠা বিক্রেতা হাজরা বেগম বলেন, সারা বছর পিঠা বিক্রি করে আমাদের তেমন কোনো আয় রোজগার হয় না। অনেক কষ্ট করে চলতে হয়। তবে শীত এলে ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় ভালো বেচাকেনা হয়। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫শ’ টাকা লাভ হয়।

একই এলাকার বুলি বেগম বলেন, প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। তবে এবার চালের দাম অতিরিক্ত বেশি। তাই লাভ কম হচ্ছে।

আরেক পিঠা বিক্রেতা কাউসার হোসেন বলেন, আগের বছর পিঠা বিক্রি করে ভালো লাভ করেছিলাম। তবে এবার তা হচ্ছে না। চাল, নারিকেল, গুড়সহ পিঠা তৈরির অন্যান্য সামগ্রীর দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সরকারের কাছে আবেদন করছি এসব জিনিসের দাম কমানো হোক।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত