ঠাকুরগাঁওয়ে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে প্রতারণা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২১, ১৬:২৫
ঠাকুরগাঁও সদরে ধার নেয়া টাকা ‘পরিশোধ’ করার পরও মামলার ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ভুল্লী বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন স্থানীয় আব্দুল হাকিম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল হাকিম বলেন, পারিবারিক কারণে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে তিনি তিন লাখ টাকা ধার নেন। টাকা নেয়ার সময় জামানত হিসেবে তাকে দুইটি স্বাক্ষর করা ফাঁকা চেক ও একটি স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্প দেন বলে জানান হাকিম।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বসতভিটার ১৩ শতক জমি বিক্রি করে এবং ও ব্যাংক-এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে আসল তিন লাখ টাকা ও সুদ বাবদ সাত লাখ দুই হাজার টাকা পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের সময় তার কাছে রক্ষিত আমার দুইটি স্বাক্ষর করা ফাঁকা চেক ও একটি স্বাক্ষর করা ষ্ট্যাম্প ফেরত দেননি জাহাঙ্গীর।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে জাহাঙ্গীর আলম আমার কাছে আরো সুদের টাকা পাবে বলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। সেই সাথে বসতভিটা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট জামেদুল হকের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম তার কাছে সাত লাখ টাকা পাবেন দাবি করে তা পরিশোধের জন্য একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বলেও জানান আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, টাকা পরিশোধ না করলে জাহাঙ্গীর আলম আমার বিরুদ্ধে মামলা করবেন হুমকি দিচ্ছেন।
এই বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আব্দুল হাকিম যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। আমি আব্দুল হাকিমের কাছে ৭ লাখ টাকা পাই। সে কারণে আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম তার সঙ্গে এই প্রতারণা করেছেন বলেও তা অস্বীকার করেছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আলম মামুন বলেন, সম্প্রতি বালিয়া ইউনিয়নে দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বেড়েছে শুনছি। তবে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে খোঁজখবর নিয়ে দাদন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে