জেলা প্রশাসনের তদন্তেও ‘মুশতাকের মৃত্যু স্বাভাবিক’
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২১, ১৮:৩৭ আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২১, ১৮:৪৮
গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে গঠিত জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা পড়েছে।
রোববার ওই প্রতিবেদন পেয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম। এ প্রতিবেদনে মুশতাকের মৃত্যু স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে জেলা প্রশাসনের দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী এবং উম্মে হাবিবা ফারজানা। দ্বিতীয় দফার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার একদিন আগেই রোববার তারা ওই প্রতিবেদন জমা দিলেন।
এর আগে প্রথম দফায় তদন্তের জন্য নির্ধারিত দুই কর্মদিবস গত সোমবারেও শেষ না হওয়ায় আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটিকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছিল।
ডিসি আরও বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদ বাথরুমে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কারো কোনো অবহেলা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে অভ্যন্তরীণ ২৬ ফেব্রুয়ারি এ কমিটি করা হয়েছিল।
প্রথমে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য কর্মকর্তাদের দুই কর্মদিবস সময় দেয়া হলেও প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়ায় তাদের আরো পাঁচ কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার সময় শেষ হওয়ার একদিন আগে রোববার তারা তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অনুরূপ। অর্থাৎ মুশতাকের মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের ভেতরেই মুশতাক আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ২০ মিনিটে মুশতাক আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটনের রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় গত বছরের ৬ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং পরে ২৪ আগস্ট থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন এই লেখক। ২৬ ফেব্রুয়ারি ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে দুপুরে পুলিশ তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে