ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘মানিক’ শনাক্তে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২১, ১৯:৪০  
আপডেট :
 ০৮ মার্চ ২০২১, ১৯:৪৩

‘মানিক’ শনাক্তে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
প্রতীকী ছবি

মানিক মিয়া নাকি মানিক হাওলাদার-আসলে কে মাদক মামলায় দণ্ডিত, তা বের করতে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

শরীয়তপুরের ‘মানিক’ নামের এই ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তার পরিবর্তে অন্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেয়া হয়েছে কি না, তদন্তে তাও বের করতে বলা হয়েছে।

শরীয়তপুরের মুখ্য মহানগর হাকিম বা তার তত্ত্বাবধানে যে কোনো হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) বিষয়টি তদন্ত করবেন। তদন্তে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ ও জেল সুপারকে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।

মানিক মিয়ার পরিবর্তে মানিক হাওলাদারের গ্রেপ্তার এবং তার আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয় বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

প্রকৃত আসামিকে চিহ্নিত বা শনাক্ত না করে মানিক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার এবং তাকে কারাগারে নেওয়া কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সিরাজগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম, সিরাজগঞ্জ ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক, শরীয়তপুর থানার ওসিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পার্থ সারথী রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলে আদালত আগামী ১২ এপ্রিল মামলাটি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানান পার্থ সারথী রায়।

এ আইনজীবী বলেন, দুইজনের নামই মানিক। একজনের নাম মানিক মিয়া, আরেকজনের নাম মানিক হাওলাদার। দুজনের বাড়িই শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখীপুর ইউনিয়নে। তবে মানিক মিয়ার গ্রামের নাম ব্যাপারীকান্দি, অন্যজনের গ্রামের বাড়ি আলমচান ব্যাপারীকান্দি।

মানিক হাওলাদারের বাবার নাম নজরুল ইসলাম, আর মানিক মিয়ার বাবা ইব্রাহীম মৃধা। তবে মামলার নথিপত্রে মানিক মিয়ার বাবার নাম নজরুল হাওলাদার উল্লেখ আছে বলে জানান পার্থ রায়।

২০০৯ সালে গাড়িতে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছর ২ জুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলার আসামি হিসেবে মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার নথির তথ্য অনুযায়ী, কিছু দিন পর ওই বছরই হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মানিক। এরপর থেকে তিনি পলাতক।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত