ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

৩০ বছর ধরে আতঙ্কে দিন কাটছে বৃদ্ধা দিলারা খানের

  ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২১, ১৭:০২  
আপডেট :
 ২০ মার্চ ২০২১, ১৮:০৪

৩০ বছর ধরে আতঙ্কে দিন কাটছে বৃদ্ধা দিলারা খানের
ছবি- প্রতিনিধি

ভোলা জেলা সদরের বাপ্তা পরাণগঞ্জ তালুকদার বাড়ি থেকে কেনা জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন দিলারা খানের পরিবার। কিন্তু ৩০ বছর ধরে দিলারার পরিবারের ওপর একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে মোস্তাফিজুর রহমান ও মাসুদ গ্রপের বিরুদ্ধে।

এর আগে সন্ত্রাসীদের হামলায় মারা যান দিলারা খানের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক। সেই বিচার আজও হয়নি। শনিবার ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ৭০ বছর বয়সী দিলারা বেগম এসব কথা জানান।

৩০ বছর ধরে আতঙ্কে দিন কাটানোর কথা উল্লেখ করে দিলারা বলেন, একসময় চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা তালুকদার বাড়ির জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতো। সেই থেকে তারা তালুকদার বাড়ির সম্পত্তি জোরপূর্বক নিজেদের দখলে রাখতে চেষ্টা করছে। তার বাবা এমদাদুল হক ১৯৯০ সালে তালুকদার বাড়ির স্টেট থেকে জমি কিনে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেন। ওই বাড়িতে দিলারা খান ছেলে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী তোফাজ্জল হোসেন মোল্লার মেয়ের জামাই মোস্তাফিজুর রহমান, মো. গফুর ফরাজি গং, মো. কয়সর পন্ডিত গং, মমিন উদ্দিন পাটোয়ারি, মো. মুছা গং ও মাকসুদ গ্রুপ তাদের জমি জবর দখল করে রাখে। একাধিকবার জমি মাপা হলেও ওই ভূমিদস্যুরা জমির দখল ছাড়তে অনিহা প্রকাশ করে উল্টো হামলা করে দিলারা খানের বাড়িঘর ভাংচুর করে।

দিলারা খান আরো অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক খান মারা যান। ওই হামলার বিচার আজও পাননি। জমিজমার বিরোধ নিস্পত্তির জন্য জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের নির্দেশে জমির সেটেলাইট জরিপ করা হয়। সেখানে তাদের জমির অবস্থান নিশ্চিত হয়।

জজ কোর্টের ওই মীমাংসাও মানতে নারাজ সন্ত্রাসীরা। এ অবস্থায় দিলারা খানকে তার ঘরবাড়ি ও জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য একের পর এক হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

দিলারা খানের ছেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত জিয়া উদ্দিন জানান, চাকরির সুবাদে তারা বাড়ি থাকতে পারেন না। তার বৃদ্ধ মা সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত