ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঘরে তুলতে বলায় স্ত্রীর মুখে আগুন, জীবন্ত পুঁতে হত্যা

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২১, ১০:৩৬  
আপডেট :
 ১২ জুন ২০২১, ১২:৩৯

ঘরে তুলতে বলায় স্ত্রীর মুখে আগুন, জীবন্ত পুঁতে হত্যা
ছবি: প্রতিনিধি

বছর খানেক আগে পরিচয়, এরপর বিয়ে। স্ত্রী হাসিনা বেগম সুমিকে নিয়ে একটি পাম্প ঘরে থাকতেন আব্দুর রউফ (৪০)। তবে এটি ছিল তার চতুর্থ বিয়ে। কয়েকদিন আগে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন সুমি। সন্তানসহ স্বামীর বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলেন। আর এ চাওয়াই কাল হলো তার। স্ত্রীর মুখে আগুন দিয়ে জীবন্ত পুঁতে হত্যা করেন পাষণ্ড স্বামী।

পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর এভাবেই নিজ স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা বর্ণনা দেন আব্দুর রউফ। শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্দুর রউফ আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এর আগে বুধবার বিকেলে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার নয়ানি খসালপুর বাগানের পাশে গাছ লাগানোর গর্ত খুঁড়তে গিয়ে সুমির লাশ দেখতে পান বন বিভাগের কর্মচারীরা। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চড়াই ভিটা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে নিহতের স্বামী আব্দুর রউফকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। এরপর তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

নিহত সুমি নবাবগঞ্জ উপজেলার খটখটিয়া কৃষ্ট চাঁদপুর গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। আটক আব্দুর রউফ বিরামপুর উপজেলার খানপুর বন্ধন আদর্শ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে বছর তিনেক আগে বিরামপুর উপজেলার খানপুরে নানাবাড়িতে থাকতে শুরু করেন সুমি। আর শালবনের পাশের মাঠে পাম্প ঘর ভাড়া নিয়ে জমিতে সেচ দেয়ার কাজ করতেন আব্দুর রউফ। সেই সুবাদে দেড় বছর আগে খানপুর বাজারে তাদের পরিচয় হয়। এর কিছুদিন পর তারা বিয়ে করেন।

সুমির সঙ্গে বিয়ের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। এমনকি মাঝে মধ্যে রউফের কর্মস্থল শালবনের পাশে পাম্প ঘরেও রাত কাটাতেন। এরই মধ্যে সুমির গর্ভে সন্তান আসে। ঘটনার ১৩ দিন আগে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন সুমি।

বিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) মতিয়ার রহমান বলেন, প্রায় দশদিন আগে রাত ১০টার দিকে সন্তানকে অন্য কারো কাছে রেখে স্বামীর কাছে যান সুমি। সন্তানসহ তাকে নিজ বাড়িতে নেয়ার জন্য রউফকে চাপ দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুমির গলা টিপে ধরেন রউফ। এরপর অজ্ঞান অবস্থায় পাম্প ঘরের পাশে মুখে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে লাশ গুম করতে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বনের জমিতে একটি পানি যাওয়া নালায় জীবন্ত অবস্থায় পুঁতে রাখেন। রউফের দেয়া তথ্যমতে নিজ বাড়ি থেকে ব্যবহৃত কোদাল ও মুখে আগুন দেয়ার ছাই উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত