ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

  রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২১, ১৭:৫২  
আপডেট :
 ১৩ জুন ২০২১, ১৮:০৫

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজনরা

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মোঃ ইমরান হোসেন (৩০) নামে এক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই কর্মীর পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্বজনরা।

নিহত ইমরান হোসেন চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার নাসির কোট গ্রামের মুন্সি বাড়ির শাহজাহান মুন্সির ছেলে।

নিহতের বাবা শাহজাহান মুন্সি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৯ জুন (বুধবার) সকালে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে আমার ছেলে খুবই অসুস্থ। তাড়াতাড়ি রামগঞ্জে আসার জন্য। কি অসুস্থ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে আগে আসেন তারপর বলব। এই বলে ফোন কেটে দেয়।

‘আমরা পরিবারের লোকজন মিলে তাড়াতাড়ি রামগঞ্জে আসলে ওরা বলে থানায় যান। এখানে এসে দেখি আমার ছেলের লাশ। সে নাকি আত্মহত্যা করেছে।’

একে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে তিনি বলেন, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যা।

ইমরানের বোন সালমা আক্তার বলেন, আমার ভাই পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান হিসাবে কাজ করত। কিন্তু তাকে সাব ষ্টেশনে কাজ করতে বলায় তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। সে আমাদের ফোনে সব খুলে বলে। চাকুরী করবে না বলে সে জানায়, তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আচার ব্যবহার ভালো লাগে না। কিন্তু তার পরে আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।

নিহতের ফুফু নাজমা বেগম বলেন, পুলিশ আমাদের কোন সহযোগিতা করছে না। কেন, কিভাবে, কোন কারনে এই মৃত্যু হয়েছে তা আমাদেরকে কেউ বলে নাই। এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমও আমাদের কোনো সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। যদি এটি আত্মহত্যা হয় তবে কেন ইমরানের মুখের এক পাশ কালো হয়ে গেলো?

এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে তিনি আরও বলেন, বুকের এক পাশে কেন কালো হয়ে গেল? শরীরের পরা জামাকাপড়ে মাটি থাকবে কেন? আমরা প্রশাসনের কাছে এই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই। আমরা রামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত ডিজিএম নুরুল আলম ভূঁইয়া, এজিএমকম কীষর চন্দ্র পাল ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কুমার দাসের বিচার চাই।

নিহতের মামা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের রামগঞ্জ থানায় থেকে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম নুরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে। যদি এটি হত্যা হয়ে থাকে তাহলে তার পরিবারের সাথে আমরাও চেষ্টা করব যেন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই বুঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।

আরও পড়ুন- কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ, এক শ্রমিকের মৃত্যু

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত