ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিজিএমইএর চিঠি

বিধিনিষেধে পোশাক কারখানা খোলা রাখার দাবি, সিদ্ধান্ত শনিবার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ২৩:৫৫  
আপডেট :
 ১৬ জুলাই ২০২১, ০০:০২

বিধিনিষেধে পোশাক কারখানা খোলা রাখার দাবি, সিদ্ধান্ত শনিবার

করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদের পর সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে রপ্তানিমুখী বস্ত্র ও পোশাক কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টানা ১৪ দিন কারখানা বন্ধ থাকলে রপ্তানি আদেশ হারাতে হবে। এতে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে বিজিএমইএর নেতারা এ দাবি জানান। কারখানা খোলা রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সাংবাদিকদের জানান, সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তিনি বলেন, ‘সরকার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কঠোর লকডাউনকালে আগের মতই বস্ত্র ও পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন। কারখানা খোলা রাখা না হলে অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। করোনার প্রথম ধাক্কায় অনেক রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে। সেই রপ্তানি আদেশ ফিরে এসেছে। এছাড়া ইউরোপ এবং আমেরিকার শপিং মল এবং ব্র্যান্ডের ফ্লোর খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ সময় তারা যদি পণ্য সরবরাহ করতে না পারেন তাহলে ক্রেতারা বসে থাকবে না। তারা অন্য দেশে চলে যাবে। এছাড়া হাতে কাজ না থাকলে অনেক কারখানার মালিক দেউলিয়া হয়ে পড়বেন। কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ টেরিটাওলে অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পৃথক দুটি চিঠি দেওয়া হয় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে।

এর আগে. গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সব ধরণের শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে।

এর পরদিন বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিজিএমইএর কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন উদ্যোক্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে। ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গতকালের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনায় গত ১৫ মাসে বিদেশি ক্রেতারা পণ্যের উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্য দিয়েছে। তারপরও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা চালিয়ে রাখার স্বার্থে লোকসান দিয়েও কারখানা চালু রাখা হয়েছে। এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ সব দেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ফলে প্রতিটি কারখানায় পর্যাপ্ত রপ্তানি আদেশ আছে। এমন সময়ে ঈদের ছুটিসহ ১৮ থেকে ২০ দিন কারখানা বন্ধ থাকলে ক্রেতারা হাতছাড়া হয়ে যাবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ছুটিতে শ্রমিকরা গ্রামে যেয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে এলে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এছাড়া ২০ দিন বন্ধের পর কারখানা খুললে জুলাই মাসের বেতন পরিশোধ করা কঠিন হয়ে যাবে। এসব বিষয় বিবেচনায় ঈদের পর দ্রুত কারখানা খুলে দেওয়া হলে রপ্তানিমুখী শিল্প বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকে রক্ষা পাবে।

চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) সভাপতি এম শাহাদাৎ হোসেন ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি আবদুল কাদের খান।

বাংলাদেশ জার্নাল- ওআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত