ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

গরুর দাম পড়তি, হাটে মিলছে না ক্রেতা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২১, ১৮:৪২  
আপডেট :
 ২০ জুলাই ২০২১, ১৮:৪৯

গরুর দাম পড়তি, হাটে মিলছে না ক্রেতা

রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে হঠাৎ করেই সব ধরনের গরুর দাম কমে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে হাটগুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় গরুর দাম পড়ে যায়। আগের দিন যে গরু একলাখেও বিক্রি করেননি বেপারীরা, সেটি এখন আশি হাজারেও বিক্রি করতে পারছেন না তারা। অনেক বেপারী গরু গড়ে প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসানে বিক্রি করেছেন। অনেক বেপারী গরু লোকসানে বিক্রি করার চেয়ে ট্রাক ভর্তি করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর নতুন বাজার, আফতাবনগর, মেরাদিয়া, গোলাপবাগ, ধোলাইখালের অস্থায়ী গরুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, গতকাল যে গরুর দাম উঠেছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সেটা আজ ১ লাখের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। দাম কিছুটা সহনীয়, তার মানে এই নয় যে দাম অনেক কম।

এদিকে অতি মুনাফার আশায় যেসব বেপারীর আগের দিন চড়া দামেরও গরু হাতছাড়া করেননি হাটের শেষ সময়ে তারা কপাল ঠুকছেন। আগের দিন যে গরু দাম এক লাখ টাকা বলে গেছেন ক্রেতারা , সেই গরু দাম আজকে সত্তর হাজার টাকাও নাকি কেউ বলছেন না। বেশি লাভের আশায় এখন লোকসানে পড়েছেন অনেক বেপারী। এ কথা স্বীকারও করেছেন অনেকেই।

নতুন বাজার ১০০ ফুটের হাটে চারদিন আগে ৩২টি গরু আনেন টাঙ্গাইলের বেপারী মোমিন আলী। তিনি জানালেন, সোমবার পর্যস্ত প্রতিটা গরুর দাম ভালো ছিল। মঙ্গলবার সকালে ভালো দাম পাওয়া দুপুরের পর থেকে হঠাৎ গরুর দাম কমতে শুরু করে। এর আগে ৮টি গরু গড়ে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভে বিক্রি করেছেন। মঙ্গলবার ৬টি গরু গড়ে ১০ হাজার টাকা লোকসানে বিক্রি করেছেন। মোমিন আলী বলেন, ভাই লোভ করতে গিয়ে লোকসানে পড়েছি। গতকাল গরু ছেড়ে দিলে ভালো করতাম। এখন কেউ দামই বলে না। এবার মরে শ্যাষ ভাই। জমি বিক্রি করে বাকি পরিশোধ করা লাগবে। গৃহস্থের কাছে বাকি করে গরু হাটে তুলছি!

আফতাব নগরের হাটে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন গরুর বেপারী রহমান মিয়া। কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে তিনি ২০টি গরু হাটে তুলেছিলেন। এর মধ্যে ১২টি গরু বিক্রি করেছেন। সব মিলিয়ে ১ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে তিনি জানান।

রহমান মিয়া বলেন, হঠাৎ করেই গরু দাম কমে গেল! কিছুই বুঝলাম না, মানুষের হাতে টাকা নেই। ১ লাখ টাকার গরুর দাম বলে ৬০ হাজার। কোরবানির হাটে আর গরু তুলবো না। আমার প্রতি গরুতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লস। বাকি গরু বাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

রাজধানীর কোরবানির হাটগুলোতে সোমবারই ক্রেতাদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু বেশি লাভের আশায় অনেক বিক্রেতাই চড়া দাম হাঁকিয়ে গরু ধরে রাখেন। আগের দিনের চেয়ে মঙ্গলবার হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় কম হাওয়ায় ওইসব বেপারী এখন বেকায়দায় পড়েছেন। হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকায় পড়তি দামে পছন্দমতো গরু কিনে খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা।

বাংলাদেশ জার্নাল- ওআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত