পাটের জাগ হারানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫০
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২১, ১৬:৫৫ আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২১, ১৭:০০
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পাটের জাগ হারানোকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে ৯টি দোকান ও ২০-২৫ টি ঘর বাড়ি ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ৫০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার পরমেশ্বর্দী গ্রামে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
বোয়ালমারী ও সালথা থানা পুলিশ সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করেন।
সংঘর্ষের ঘটনাস্থল ফরিদপুরের মধুখালী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে।
আহতদের মধ্যে মান্নান মাতুব্বর গ্রুপের ফিরোজ (২৫), সুমন (২৬), মিজান (২৮), মহাসিন (২৯) কে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানায়, ১০ থেকে ১২ দিন আগে পরমেশ্বদী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল আলম মিনা মুকুল গ্রুপের মাসুদের সমর্থক নজরুল মোল্যা ও ইউনিয়ন সদস্য নুরুল আলম মিনা মুকুল গ্রুপের মাসুদের সমর্থক নজরুল মোল্যা ও আ. মান্নান মাতুব্বর গ্রুপের নজরুল মোল্যা স্থানীয় কুমার নদে পাঁশাপাশি পাটের জাগ দেয়।
মনিরুলের পাটের জাগ হারিয়ে গেলে মনিরুল নজরুল মোল্যার বাড়িতে গিয়ে জানতে চায় তার পাটের জাগ কোথায়? এ সময় নজরুল মনিরুলকে বলে তার জাগ সে উঠিয়ে নিয়ে এসেছে, মনিরুলের জাগের খবর জানে না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
সে ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল সড়কি, রামদা, লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় পাঁশের সালথা থানার খারদিয়া গ্রামের লোকজন চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা মুকুল গ্রুপের মাসুদের পক্ষ নিয়ে মান্নান মাতুব্বরের লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মান্নান মাতুব্বরের ছোট ভাই সিদ্দিক মাতুব্বর বলেন, নুরুল আলম মিনা মুকুলের লোকজন তার নেতৃত্বে আমার গ্রুপের লোকজনের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় মহিলাদেরও মারধর করে তারা।
নুরুল আলম মিনা মুকুল বলেন, আমার কোন গ্রুপ নেই। মান্নান মাতুব্বর গ্রুপ ও মাসুদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আগে একবার সংঘর্ষ হয় সে সংঘর্ষের ঘটনায় আমাকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়। সংঘর্ষের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে লিপ্তকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য রাবার বুলেট ও লাঠি চার্জ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ