ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মায়ের দুধের বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২১, ১৮:০৪

শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মায়ের দুধের বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ফটো

শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার অনলাইন জুম অ্যাপে অংশ নিয়ে সপ্তাহব্যাপী মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবার মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন শুরু হয়েছে। এবছর ২ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এই সপ্তাহটি পালিত হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। যে জাতি শিশুদের কথা ভাবে না সে জাতি খুব বেশি উন্নত হতে পারে না। আর দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উন্নত অবস্থানে দেখতে হলে আমাদের আজকের এবং অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মায়ের দুধের কোন বিকল্প নাই।

বিভিন্ন জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, জন্মের ১ ঘণ্টায় মধ্যে মায়ের দুধ পান করালে মৃত্যুর হার শতকরা ৩১ ভাগ কমে যায়। আর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করালে (এক ফোটা পানিও নয়) শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি আরো ১৩ শতাংশ কমে যায়। তাই শিশুর মৃত্যুহার রোধে এবং শারিরীক ও মানসিক বিকাশে জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যেই মায়ের দুধ পান, পূর্ণ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান এবং পূর্ণ ৬ মাস বয়সের পর থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত ঘরে তৈরি বাড়তি খাবারের পাশাপাশি মায়ের দুধ চালিয়ে যেতে হবে।

বিশ্বব্যাপী শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোর হার এখনো অনেক কম জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী মাত্র ৪৩ শতাংশ নবজাতককে জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পান করে থাকে এবং ৪১ শতাংশ শিশুকে পূর্ণ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করানো হয়। বাংলাদেশে এই হার বর্তমানে যথাক্রমে ৬৯ শতাংশ এবং ৬৫ শতাংশ।

‘শিশুকে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করানোর হার এখন ৮৭ শতাংশ। যদিও ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শিশুর পূর্ণ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করানোর হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই তা অর্জন করেছে।’

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত