ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘পরিমনি’কে কেন্দ্র করে ধনিক সমাজের চেহারায় উদ্বিগ্ন বিশিষ্ট নাগরিকরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২১, ১৯:১১  
আপডেট :
 ১২ আগস্ট ২০২১, ১৯:২৯

‘পরিমনি’কে কেন্দ্র করে ধনিক সমাজের চেহারায় উদ্বিগ্ন বিশিষ্ট নাগরিকরা

চলচ্চিত্র জগতের এক অভিনেত্রীকে কেন্দ্র করে দেশের নব্য-ধনিক সমাজের যে চেহারা ফুটে উঠেছে তাতে গভীরভাবে চিন্তিত, উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ করেছেন ১৭জন বিশিষ্ট নাগরিক।

বৃহস্পতিবার সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কয়েকটি বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তারা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নির্বাহী কমিটির সদস্য হানিফ খান বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান।

বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, দেশে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে সামাজিক অবক্ষয়, সাম্প্রদায়িকতা এবং নারী-বিদ্বেষী পুরুষতান্ত্রিকতার বিস্তার যেভাবে ফুটে উঠেছে তা আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন করেছে। সুনামগঞ্জের শাল্লায় গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটতরাজের ঘটনা অতীব দুঃখজনক। তার চেয়েও দুঃখবহ, এই হামলার মাধ্যমে দেশের অসাম্প্রদায়িক সামাজিক আবহ বিনষ্টকারী চিহ্নিত গোষ্ঠীর অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিচার তো হলোই না, বরং বিনা বিচারে কারাবাসে রয়েছেন মৌলবাদী গোষ্ঠীর সমালোচনাকারী সংখ্যালঘু যুবক। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনার রূপসা উপজেলায় ন্যক্কারজনকভাবে ভাংচুর করা হয়েছে উপাসনালয় ও প্রতিমা। নিজ ধর্মবিশ্বাসে আস্থাবান মানুষ অপরের ধর্মপালনকে সম্মান করে চলবে, এটা সবারই কাম্য। এর অন্যথা ঘটিয়ে সামাজিক অপরাধ যারা সংঘটিত করবে তাদের কঠোর হাতে দমনের দাবি আমরা করছি।

বিবৃতিতে নাগরিকবৃন্দ আরো বলেন, চলচ্চিত্র জগতের এক অভিনেত্রীকে কেন্দ্র করে দেশের নব্য-ধনিক সমাজের যে চেহারা ফুটে উঠেছে তা আমাদের গভীরভাবে চিন্তিত, উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ করেছে। নারীকে বাণিজ্য ও ভোগের পণ্য হিসেবে ব্যবহারের ধারা নানাভাবে পরিপুষ্টি পেয়ে সামাজিক অনাচারের ভোগবাদী। সংস্কৃতি প্রবল করে তুলেছে। অর্থ-বিত্ত-প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অশুভ আঁতাতের প্রতিফল যখন ন্যাক্কারজনকভাবে প্রকাশ পেতে শুরু করলো তখন নারীর ওপরই এর দায়ভার অর্পণের বিশাল আয়োজন আমরা প্রত্যক্ষ করছি।

তারা বলেন, পুরুষতান্ত্রিক কুপমুন্ডক চিন্তার এই দাপট সামগ্রিকভাবে সমাজকে এবং বিশেষভাবে নারীকে নানাভাবে নিগৃহের শিকারে পরিণত করেছে। আমরা নারীর সাংস্কৃতিক অধঃপতনের শিকার হয়ে ওঠার জন্য যারা দায়ী, যারা এর ইন্ধনদাতা তাদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি করছি এবং এই ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সাংস্কৃতিক সামাজিক আন্দোলন বেগবান করার প্রয়োজনীয়তা সবার সামনে মেলে ধরছি।

বিবৃতিদাতারা হলেন, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, সৈয়দ হাসান ইমাম, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সেলিনা হোসেন, আবেদ খান, ফেরদৌসী মজুমদার, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, আবদুস সেলিম, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, শাহরিয়ার কবীর, মুনতাসীর মামুন, গোলাম কুদ্দুছ ও হাসান আরিফ। এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত