নিখোঁজের ২৩ বছর পর নেপাল থেকে ফিরলেন আমিনা
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৪০ আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৪১
বগুড়ার ধুনটের নিখোঁজের প্রায় ২৩ বছর পর নেপাল থেকে বাড়ি ফিরলেন বৃদ্ধ আমিনা বেওয়া। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
সোমবার দুপুরে আমিনা বেওয়া ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। সরকারের পক্ষ থেকে আগে জানানোর কারণে পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
স্বজনরা জানান, ‘মানসিক রোগী’ আমিনা বেওয়া (৮০) ধুনটের ছোট চাপড়া গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯৮ সালে তিনি হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।
আমিনার মেজ ছেলে ফটিক বলেন, তার মা `মানসিক রোগী’ ছিলেন। বাড়িতে থাকতেন না। পাগলের মতো ঘুরে বেড়াতেন।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। ভেবেছিলাম মা হয়ত-বা মারা গেছে, এমনকি দীর্ঘদিন মার খোঁজ না পাওয়ায় আমাদের ভোটার আইডিতে মাকে মৃত দেখানো হয়েছে।
মাঝে মাঝেই মা নিরুদ্দেশ হতো। কীভাবে নেপালে গেল বুঝতে পারিনি। পাগল এমন মানুষ সীমান্ত পাড় হলো কীভাবে তাও জানি না।
আমিনা বেওয়াকে বিমানবন্দর থেকে আনতে গিয়েছিলেন তার বড় ছেলে আমজাদ হোসেন, মেজ ছেলে ফটিক, ছোট ছেলে ফরাইজুল, মেয়ে আম্বিয়া, নাতি ফাইম ও আদিল।
আমিনা বেওয়ার ছেলে ফটিক বলেন, হাই কমিশনের মাধ্যমে সোমবার দুপুর ১টায় নেপাল থেকে তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে আসেন। সরকার থেকে আগেই জানানো হয়েছিল আমাদের।
আমিনা বেওয়ার নাতি রাজু বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে দাদিকে খুঁজে পেতাম না। ফেইসবুকের সুবাদেই আজ দাদিকে পেলাম।
রাজু জানান, শুক্রবারে ভিডিও কলে বড় ছেলে, মেজ ছেলে, ছোট ছেলের সঙ্গে কথা হয়। সেখানে নেপালি অধিবাসীও ছিলেন। ভিডিও কলে আশ্রয়দাতা নেপালীদের ধন্যবাদ জানানো হয়।
বড় ছেলের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, আমার শাশুড়ি মানসিক রোগী ছিলেন। পাগলের মত ঘুরত। পাবনা মানসিক হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল।
আমিনা বেওয়ার আরেক নাতি বগুড়ার নন্দীগ্রাম রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশ আদিলুর রহমান আদিল বলেন, দীর্ঘদিন পর দাদিকে ফিরে পাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ