ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

স্কুলছাত্র মিশু হত্যায় ব্যাংক কর্মচারীর ফাঁসি

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:২৩

স্কুলছাত্র মিশু হত্যায় ব্যাংক কর্মচারীর ফাঁসি
আদালত

দীর্ঘ ৫ বছর পর পাবনার কালেক্টরেট স্কুলের ছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু (১৪) হত্যা মামলায় জনতা ব্যাংক কর্মচারী আব্দুল হাদিকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড ও পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন।

নিহত মিশু পাবনা শহরের শালগাড়িয়া কসাইপট্টি মহল্লার মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মহসিন আলম ছালামের ছেলে। সে পাবনা কলেক্টরেট স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হাদি পাবনা শহরের রাধানগর নারায়নপুর মহল্লার আব্দুল করিমের ছেলে এবং জনতা ব্যাংক পাবনা শাখার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ পাবনা কালেক্টরেট স্কুলের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এর কিছুক্ষণ পর মিশু একটি মোবাইল ফোন থেকে তার মাকে জানায়, সে তার বন্ধুদের সাথে আছে, বাড়ি ফিরতে দেরি হবে। কিন্ত সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হলেও মিশু আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাবনা শহরতলীর রামানন্দপুরে জনৈক নিঠুর লিচু বাগানে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

মিশুর গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরদিন ২৪ মার্চ মিশুর বাবা মহসিন আলম ছালাম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন মিশু যে মোবাইল নম্বর থেকে তার মাকে ফোন করেছিল, পুলিশ ওই মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরেই তদন্ত করে এবং ৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়।

দীর্ঘ ৫ বছর পর বুধবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা হয়। আসামি আব্দুল হাদী হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় রায়ে বিচারক তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং আরো ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এ সময় সাক্ষ্য-প্রমাণে অন্যরা দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার ও তৌফিক ইমাম খান এবং সরকারপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সালমা আক্তার শিলু।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত