ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডাকাতির স্বর্ণ চলে যায় তাঁতীবাজারে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:১৬

ডাকাতির স্বর্ণ চলে যায় তাঁতীবাজারে
ফাইল ছবি।

রাজধানীর রাপা প্লাজা ও আশুলিয়ার পৃথক দুটি ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক নারীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। পুলিশের এই বিশেষ সংস্থাটি বলছে, দেশজুড়ে ডাকাতি হওয়া এসব স্বর্ণ নিরাপদে বিক্রির জন্য তাঁতী বাজারের বেশকিছু সিন্ডিকেটকে বেছে নিয়েছে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র।

বুধবার রাজধানীর সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লাসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ডাকাতি করা স্বর্ণ তাঁতীবাজারে আনা হয়। সাম্প্রতিক কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।

মুক্তা ধর বলেন, ডাকাতির লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার রাজধানীর তাঁতীবাজারে অবৈধভাবে বেচাকেনার সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে সিআইডির কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে লুন্ঠিত স্বর্ণের অলংকার গলিয়ে স্বর্ণের পাত বানিয়ে মূলত তাঁতীবাজারে অবৈধ ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নয়ারহাট বাজারে ১৯টি স্বর্ণের দোকানে একযোগে ডাকাতি হয়। সশস্ত্র ডাকাতরা স্বর্ণ ও রুপার অলংকার এবং নগদ টাকা নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়।

মুক্তা ধর আরও বলেন, মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে মধ্যবাড্ডা থেকে শাহানা আক্তার (২৪) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসা থেকে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকা এবং ৩/৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে সিআইডি। ১৬ সেপ্টেম্বর ওই নারী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গ্রেপ্তার করা হয় আরও ২ জন। তারা হলেন আল মিরাজ মিন্টু (৩৮) ও কামাল খান (৩৯)। তারাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আশুলিয়ার নয়ারহাটে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত আনোয়ার হাওলাদার (৩৯), মো. দেলোয়ার হোসেন খলিফা (৩৬), আব্দুর রহিম (৫৫), আল মিরাজ ওরফে মিন্টু (৩৮), কামাল খাঁ (৩৯) ও মো. সাগরকে (৪০) গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

তাদের গ্রেপ্তারের পর সিআইডি নিশ্চিত হয়, চোরাই স্বর্ণ তাঁতীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সবুজ রায় (৩২) ও আব্দুর রহিম (৩১) ক্রয় করেন। এরপর তাদেরও সিআইডির হেফাজতে নেয়া হয়।

গ্রেপ্তার শাহানা, আনোয়ার, দেলোয়ার, সবুজ রায়, আব্দুর রহিম, আল মিরাজ ওরফে মিন্টু, কামাল খাঁ আশুলিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ঢাকার নয়াবাজার এলাকার আব্দুর রহিমের ভাড়া করা বাসা থেকে আশুলিয়ার ডাকাতি করা ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে সিআইডি।

সবুজ রায় ও আব্দুর রহিম গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডির রাপা প্লাজায় রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন। এ ঘটনায় নেয়া ১২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার হয় সবুজ রায়ের নায়বাজারের বাসা থেকে।

বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, সবুজ রায় এবং আব্দুর রহিম তাদের জবানবন্দিতে তাঁতীবাজারের খাঁজা করপোরেশন, রাজিয়া বুলিয়ান স্টোর, সুমন বুলিয়ান স্টোর বা স্বর্ণের দোকানের নাম উল্লেখ করেন।

সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম/ এফজেড

  • সর্বশেষ
  • পঠিত