ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকারি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সভাপতির গুদাম

  গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:০৭

সরকারি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সভাপতির গুদাম
হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত শ্রেণি কক্ষ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষকে গুদাম হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি শ্রেণিকক্ষ নিজের দখলে রেখে তিনি সরিষা, পাট ও পেয়াজের গুদাম হিসেবে ব্যাবহার করে আসছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

অভিভাবক আব্দুল মালেক জানান, সভাপতির পরিবারের দেওয়া জমিতে স্কুল হওয়ায় সভাপতি এটাকে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করেন। ক্লাস রুমগুলো নিজের প্রয়োজন মতো ব্যবহার করেন।

সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ জানান, রুমটি খালি করে দেওয়া জন্য সভাপতিকে অনেক বার বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি।চলতি মাসে স্কুল পরিদর্শনে দুই দিন রুমটি তালা বন্ধ পেয়েছেন শিক্ষা অফিসার।

সরেজমিন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হদলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ৫ম ও ৩য় শ্রেণির পাশের কক্ষটি তালাবদ্ধ। স্কুলের দপ্তরিকে রুমটি খুলে দিতে বললে তিনি জানান, এই ক্লাস রুমের চাবি সভাপতির কাছে। সভাপতি বাড়িতে না থাকায় পরে সভাপতির স্ত্রী এসে রুমটি খুলে দেন। রুমে ঢুকে দেখা যায় কৃষি কাজে ব্যবহত ইঞ্জিন চালিত শ্যালো মেশিন, প্লাস্টিক পাইপ ও কিছু কিছু স্থানে পাট পরে আছে।

প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান জানান, ক্লাস রুম থেকে পাট সরানোর জন্য স্কুল কমিটির সভাপতিকে একাধিকবার বলার পরও তিনি তা করেননি। তাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

রুমটি দখলে রাখার অভিযোগ স্বীকার করে স্কুল কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, ক্লাস রুমটি পরিত্যক্ত ছিল। তাই আমার চেনা কিছু ব্যবস্যায়ী এই রুমের দরজা জানালা মেরামত করে পাট রাখেন । আমরা পাটগুলো রুম থেকে সরিয়ে নিয়েছি। প্রধান শিক্ষক চাইলে রুমটি দিয়ে দিবো। আমার ব্যবহারিক জিনিসও পত্র সরিয়ে নিবো।

সাঘাটা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, এই ব্যপারে প্রধান শিক্ষকের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। সভাপতিকে রুমটি খালি করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও খালি না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত