ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আত্মহত্যার ঘটনায় ২ শিক্ষিকা আটক

  রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:১৯

সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আত্মহত্যার ঘটনায় ২ শিক্ষিকা আটক
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: প্রতিনিধি।

রাজশাহী মহানগরীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক সার্জেন্টের আত্মহত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। এ ঘটনায় জড়িত দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানিয়েছে আরএমপি। আটককৃতরা ঢাকার সাভারে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে মৃতের খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মৃত মজিবুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট । তিনি তার পরিবার নিয়ে উপশহর ২নং সেক্টর, হোল্ডিং নং-৯০/২ বাসায় ভাড়ায় থাকতো।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি সাড়ে ৮টার মধ্যে আত্মহত্যা করে। সেদিন মৃত মজিবুর রহমানের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাসায় ছিলো না।

সংবাদ পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ মৃতদেহ তার ভাড়া বাসা থেকে দরজা ভেঙে বের করে। মৃতের বড় ছেলে তার বাবার আত্মহত্যার বিষয়ে অবগত করলে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়।

তার ছেলে আরও জানায়, মৃত্যুর পর তার বাবার মোবাইল ফোন সেট পাওয়া যায়নি এবং মৃতের স্ত্রী জানায়, তার বাসায় থাকা ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) টাকা এবং ব্যাংকের কিছু কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এই আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটনসহ আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের লক্ষে কাজ শুরু করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। গত রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলা হতে আসামি আইরিন ইয়াসমিন লিজাকে আটক করে।

এসময় তার ব্যক্তিগত মোবাইল ও তার কাছ থেকে মৃত মজিবুর রহমানের মোবাইল জব্দ করা হয়। এরপর বোয়ালিয়া থানার ঐ টিম রাত সোয়া ৯টায় অপর আসামি মোসা. শামীমা আক্তারকে আটক করে এবং তার ব্যক্তিগত মোবাইল জব্দ করে।

আইরিন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মৃত মজিবুর রহমানের সাথে তার কথপোকথন ও অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল এবং ঘটনার দিন তারা মজিবুর রহমানের বাসায় স্বেচ্ছায় এসে তার পাশের রুমে অবস্থান করছিলো।

লিজাকে মৃত মজিবুর ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দিয়ে তার রুমে ডাকে। আইরিন তার রুমে যেতে না চাইলে সে আত্মহত্যা করবে বলে ম্যাসেঞ্জারে হুমকি প্রদান করে। এরপর আইরিন মৃত মজিবর রহমানের নিকট না গেলে একপর্যায়ে অভিমান করে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টার পর যেকোন সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আরও জানায়, তারা সকাল সাড়ে ৭টায় মজিবুরকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে দেখে তার মোবাইল ফোন সেট, চাবি ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

ওই সার্জেন্ট রাজশাহী মহানগরীতে প্লট ক্রয়-বিক্রয় এবং রেন্ট এ কার ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। আটককৃতরা ঢাকার সাভারে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তারা শিক্ষকতার অন্তরালে একটি সংঘবদ্ধ ব্লাকমেলিং চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায়। এই ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত