ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

খোলা আকাশের নিচে সেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:২২

খোলা আকাশের নিচে সেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা
খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে চর সিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি সংগৃহীত

তিনদিন আগেও রাজবাড়ী জেলার চর সিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সবার চোখের সামনে ছিলো। কিন্ত এখন সেটা নদীগর্ভে। বিদ্যালয়টি পদ্মায় বিলীন হবার পরে এখন পর্যন্ত নতুন কোন ঠিকানা হয়নি। তাই স্কুল হারানোর শোককে সঙ্গী করে খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস করছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহর রক্ষা বাঁধের ডানের ১০০ কিলোমিটার সিসি ব্লক ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় চর সিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়।

তিনদিন পরে আজ সোমবার সকালে দেখা গেছে, খোলা আকাশের নিচে চতুর্থ শেণির এক শিক্ষার্থী বসে আছে ক্লাসের আশায়। চারপাশে তার মতো অপেক্ষমান আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী। জানতে চাইলে তারা বলে, আমাদের স্কুলতো নদীতে ডুবে গেছে। এ কারণে এখানে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। মন চায় ক্লাসরুমে ক্লাস করতে।

চর সিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঈমান আলী জানান, স্কুলটি ভেঙে যাওয়ার কারণে শিশুদের পাঠদানের কোনো সুযোগ নেই। কিছু আসবাবপত্র আমরা রক্ষা করেছি। স্থানীয় একজন বাসিন্দা জমি দিয়েছেন। পূর্বে টিনের যে ঘর ছিল সেটা ভেঙে নতুন ওই জমিতে ঘর বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমী জানান, শিক্ষার্থীদের যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য স্থানীয় কারো বাড়িতে বা অন্য কোনোভাবে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছি।

সরকারের কাছ থেকে এখনও কোনো সহায়তা পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক ঈমান আলী।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাওমি মো. সায়েম বলেন, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এখানে নতুনভাবে স্কুল করার বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমন আশ্বাস দিলেও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা গেছে। তারা বলছেন, কিছু ঘটলে চিন্তা করে সরকার। ঘটার আগে চিন্তা করলেইতো আর ওসব ঘটে না। যে স্কুলগুলো এখনো ঝুঁকিতে আছে সেগুলোর ব্যাপারে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।

আরও পড়ুন- পদ্মার পেটে প্রাথমিক স্কুল, কোথায় পড়বে শিশুরা

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত