ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

পোকায় খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

  জাহিদ খন্দকার, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২১, ১০:০৭

পোকায় খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন
ছবি: প্রতিনিধি

কষ্টের ফসল খাচ্ছে পোকা। হতাশায় গাইবান্ধার হাজার হাজার আমন ধান চাষি। আমন ধান ক্ষেত রক্ষায় বার বার কীটনাশক প্রেয়োগ করার পরেও কোন সুফল মিলছেনা। কৃষি পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কোন কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের পাশে নেই বলে কৃষকদের নানা অভিযোগ। তবে কৃষি বিভাগ বলছেন,পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে বাঁচতে আলোক ফাঁদ, জৈব কৃটনাশক, বালাইনাশক ও কৃটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শসহ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সচেতনতায় মাঠে কাজ করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ও কচুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিনে দেখায় যায় বিঘার পর বিঘা আমন ধানের ক্ষেত পোকার আক্রমণের ফলে সাদা বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হচ্ছে। কৃষকরা সারাদিন স্প্রে মেশিন কাঁধে নিয়ে কৃটনাশক স্প্রে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিস্তু কোন সুফল পচ্ছেনা।

কচুয়া ইউনিয়নের গাছাবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল জানান, “আমি ৭ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমন ধানের চাষ করেছি। জমি প্রস্তুত সার পানি সব দেয়ার পরে যখন ধান গোলায় তোলার স্বপ্নে দেখছি । ঠিক তখন ফসলে দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণ। এখন পোকা দমনের চেষ্টায় প্রতিদিন কৃটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।”

উপজেলার রাগনগর গ্রামের কৃষক বাবলু শিকদার জানান, “কয়েক বছরের বন্যার ধবল কাটিয়ে এবছর বন্যা নেই বলে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে আমন ধানের চাষ করলেও পোকার আক্রমণের হাত থেকে ফসল রক্ষা পাচ্ছে না। ওষুধ দিয়েও মিলছেনা কোন প্রতিকার। সরকারের কৃষি বিভাগ এগিয়ে না আসলে আমাদের গোলায় এবছর ধান উঠবেনা।”

এই উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ফরমান আলী জানান,“বারবার স্প্রে করেও পোকা নিধনের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ কৃষকদের ফসল রক্ষার মাঠে কোন কৃষি কর্মকর্তা আসেনি পরামর্শ দিতে। রোগের ধরন দেখে কৃষি বিভাগ থেকে মিলছে না কোন পরামর্শ। কৃষকদের এমন ক্ষতির জন্য কৃষি বিভাগ দায়ী।”

সব অভিযোগ অস্বীকার করে সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান বলেন, “কৃষকদের সচেতনতা করতে মাঠ পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাঠ দিবসসহ বিভিন্ন কর্মসুচি চলছে। যে সব কৃষকের জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে তাদের জমিতে গিয়ে পরামর্শসহ কৃটনাশক দেয়া হয়েছে।”

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, “পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে বাঁচতে আলোক ফাঁদ, জৈব কৃটনাশক, বালাই নাশক ও কৃটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দিতে মাঠে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। যে সব এলাকায় পোকার আক্রমণের কথা জানলাম আমি সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকতাকে ব্যবস্থা নিতে বলবো।”

তিনি আরও জানান, এবছর গাইবান্ধায় জেলার ৭ উপজেলা মোট এক লক্ষ ২৯ হাজার ৪ শত ৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এক লক্ষ ২৮ হাজার ৯০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।”

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত