ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বৃষ্টিতে আমন ও রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের

  রাণীশংকৈল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১৫:২৩

বৃষ্টিতে আমন ও রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের
ছবি: প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত সোমবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এতে শত শত হেক্টর জমির কাঁচা-পাকা আমন ধানের গাছ নুয়ে পড়েছে। পানি দ্রুত না সরলে ধানের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, রাণীশংকৈল উপজেলায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা খুব একটা নেই।

কৃষকেরা জানান, সোমবার রাত থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝেমধ্যে বৃষ্টির সঙ্গে চলে দমকা হাওয়া। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো প্রবলবেগে বৃষ্টি হয়। বুধবারও থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে আমন ও রবি ফসলের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠঘাট তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে ক্ষেতের আমন ধান। অনেক এলাকায় ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। দুই একটা ছাড়া প্রায় সব ক্ষেতের ধানই মাটিতে হেলে পড়েছে।

ধর্মগড় এলাকার কৃষক এনামুল হক তিন একর জমিতে আমন আবাদ করেছেন। ১৫ দিন পর ক্ষেতের ধান কাটার কথা ছিল তার। কিন্তু টানা বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় তার ক্ষেতের ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। তাতে ফলন পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন তিনি। এনামুল হক বলেন, ‘কত কষ্ট করে আমরা আবাদ করেছি। আর যখন কাটার সময় হলো, তখন পাকা ধানে মই দিয়ে গেল বৃষ্টি।’ এলাকার প্রায় সব ক্ষেতের ধানের একই অবস্থা বলে জানান এনামুল ।

উপজেলার রাতোর এলাকায়ও আমন ধানের গাছ নুয়ে পড়েছে। সেখানে কথা হয় আমনচাষি জগেশ্বর বর্মণের সঙ্গে। তিনি জানান, শুয়ে পড়া ধানগাছে কয়েক দিনের মধ্যেই পোকায় আক্রমণ করবে। এতে ধান চিটা হয়ে যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায় উপজেলায় এবার ২১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।

এখন মাঠে ৬ শতাংশ জমির ধান থোর অবস্থায়, ২৯ শতাংশ জমির ধান ফুল অবস্থায় রয়েছে। এ সময়টা একটু সংবেদনশীল। অনেক জমির ধানগাছ নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়ার কারণে এ দুই পর্যায়ের জমির ধানে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, বৃষ্টিতে আমন ধান ছাড়াও শীতকালীন আগাম সবজি এবং আগাম আলুর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জমি থেকে পানি নেমে গেলে সবজির ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে মুলাজাতীয় সবজি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাঁরা আগাম আলু লাগিয়েছেন, তাদের রোপণ করা আলুবীজ পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বৃষ্টির কারণে উপজেলায় ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা কয়েক দিনের মধ্যে নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত