বিয়ে না দেয়ায় ফাঁস দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা!

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিয়ে না দেয়ায় বাবার ওপর অভিমান করে ইমন আলী (২০) নামের এক তরুণ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার সকালের দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার।

শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

এর আগে মঙ্গলবার রাতে বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া কাচারিপাড়া গ্রামে গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ইমন আলী। তিনি উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া কাচারিপাড়া গ্রামের জামছের আলীর ছেলে।

জানা গেছে, ঢাকায় একটি আইসক্রিম কারখানায় কাজ করতেন ইমন। করোনাকালীন সময়ে তিনি বাড়িতে চলে আসে। কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য তিনি বাবাকে বলে আসছিলেন। পরে পার্শ্ববর্তী গ্রামে মেয়ে দেখে বিয়ের কথা পাকাপাকি করা হয় এবং আগামী বছর বিয়ের দিন ঠিক করেন তার বাবা।

কিন্তু এখনই বিয়ে দিতে হবে এমন চাপ সৃষ্টি করলে তার বাবা অমত পোষণ করেন। এ কারণে ইমন মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় বাড়ির পাশের বাগানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এদিকে বুধবার সকাল ৭টার দিকে প্রতিবেশী এক নারী বাগানে গেলে ইমনকে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বিয়ে না দেয়ায় ওই ছেলে আত্মহত্যা করেছে, এলাকাবাসী এমনই তথ্য দিয়েছে। তবে লাশের ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ বিষয়ে কুমারখালী থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে