ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

দু’টি কাজ শেষে উম্মুক্ত হবে সেই ফ্লাইওভার

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ২১:৫২  
আপডেট :
 ২৭ অক্টোবর ২০২১, ২২:৪২

দু’টি কাজ শেষে উম্মুক্ত হবে সেই ফ্লাইওভার
ছবি: প্রতিনিধি

দু’টি কাজ সম্পন্ন করে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে এমএ মান্নান ফ্লাইওভারের র‍্যাম্পের অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে হবে। বুধবার বাংলাদেশ জার্নালকে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।

তিনি জানান, দু’টি কাজ সম্পন্ন করে দ্রুতই খুলে দেয়া হবে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার। আমরা ব্যারিয়ার দিয়ে দেবো, আর ক্রস বন্ধ করে দেবো। এই দুটি কাজ সম্পন্ন করেই বিশেষজ্ঞ টিমের লিখিত অনুমোদন পেলে সেটি চালু করা হবে।

সিডিএ সূত্রে জানা যায়, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের মুখে বসানো হবে হাইট ব্যারিয়ার। ভারী যান ঠেকাতে হাইট ব্যারিয়ার বসানোর পর তা বুঝিয়ে দেয়া হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক)।

এ বিষয়ে ম্যাক্স ইন্টারন্যাশনালের প্রজেক্ট ম্যানেজার মুনির হোসাইন বলেন, ফ্লাইওভারের এ অংশটি মূল নকশায় ছিল না। ফ্লাইওভার নির্মাণের চার বছর পর তৎকালীন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের অনুরোধে আমরা আরাকান সড়কমুখী এই র‍্যাম্পটি তৈরি করেছিলাম। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই র‍্যাম্পটি তৈরি করা হয়।

তিনি বলেন, হালকা যান চলাচলের জন্য র‍্যাম্পটি তৈরি করা হলেও ভারি যান চলাচলের কারণে এটি ঝুঁকিতে আছে। আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ফ্লাইওভারে কোনো ফাটল নেই। হালকা যান চলাচলের জন্য ফ্লাইওভার এখনই খুলে দেয়া যেতে পারে। তবে বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে কিছু কারিগরি পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে ক্র্যাক হওয়া স্থানটি কেটে পিলারে ভেতরে কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা তাও দেখা হবে।

গত সোমবার সন্ধ্যায় এক পথচারী পিলারের ওপরের অংশে বড় একটি ফাটল দেখতে পেয়ে ফেসবুকে সেটি নিয়ে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্ট পুলিশের নজরে আসার পর তারা বহদ্দারহাট মদিনা হোটেলের সামনের ফ্লাইওভার পর্যবেক্ষণ করে একটি পিলারের ওপরের অংশে বড় একটি ফাটল শনাক্ত করে। এরপর যে কোনো ধরণের ঝুঁকি এড়াতে রাত ১০টা থেকে ফ্লাইওভারের এ অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

ফাটলের খবর পেয়ে রাতেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্থানীয় দুই কাউন্সিলর এবং চান্দগাঁও থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারাও পিলারের নিচের অংশে থাকা অস্থায়ী দোকান ও বিভিন্ন গাড়িগুলো সরিয়ে দেন। পাশাপাশি একটি পিলারের অংশে ব্যারিকেড দিয়েও রাখা হয়।

উল্লেখ্য, যানজট নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের শুলকবহর থেকে বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এম এ মান্নান ফ্লাইওভার (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

নির্মাণের চার বছর পর এম এ মান্নান ফ্লাইওভারে আরাকান সড়কমুখী একটি র‍্যাম্প যুক্ত করেন সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। র‍্যাম্প ব্যবহার করে নগরের মুরাদপুর থেকে আসা গাড়িগুলো চান্দগাঁও ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের দিকে একমুখী চলাচল করে। পরে এই ফ্লাইওভারসহ চারটি ফ্লাইওভার ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চসিককে হস্তান্তর করে সিডিএ।

২০১২ সালের নভেম্বরে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসের ঘটনায় ১৪ জন নিহত হলে এর নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নির্মাণকাজ শেষে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে উদ্বোধনের পর ফ্লাইওভারটি কার্যকর না হওয়ায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আরাকান সড়কমুখী র‍্যাম্প নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ৩২৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৬ দশমিক ৭ মিটার চওড়া র‍্যাম্পটি নির্মাণ শেষে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। র‍্যাম্পটিতে ১৪টি পিলার রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত