উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শশ্মান দিপাবলী উৎসব বরিশালে
বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ২০:২৮
বরিশালে চলছে উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় শশ্মান দিপাবলী উৎসব। তিথি থাকা অবস্থা পর্যন্ত চলে এ উৎসব।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিট থেকে তিথি শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৫ মিনিটে। এ সময় পর্যন্ত চলবে পূজা অর্চনা।
এ সময় মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতির আলোয় আলোকিত হয়েছে পুরো শশ্মান এলাকা। স্বজনহারারা তাদের প্রিয়জনের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস কালি পূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশী তিথিতে পূজা অর্চনা করলে প্রয়াত ব্যক্তির আত্মা শান্তি লাভ করে। তাই আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি প্রয়াত প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে তার সমাধিস্থলে নিবেদন করা হয় প্রয়াতের পছন্দের নানা ধরণের খাবার। সবকিছু করা হয় তিথি থাকা অবস্থায়।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি গোপাল সরকার বলেন, করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও মেলার আয়োজন করা হয়নি। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। দূরত্ববিধি মানার জন্য নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শ্মশানে প্রবেশ গেটে রাখা হয়েছে স্যানিটাইজার ও মাস্ক। ভিড় বা জটলা না করতে বার বার মাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবক দল, র্যাব ও পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, স্বজন না থাকা মঠগুলোতে কমিটির পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। ১৯২৭ সাল থেকে ওই স্থানে শ্মশান দিপাবলী উৎসব পালিত হয়ে আসছে। উপমহাদেশের মধ্যে এ মহাশ্মশানকে ঘিরে সবচেয়ে বড় শ্মশান দিপাবলী হয় বলে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের দাবি।
৫ একর ৯৬ শতাংশ মহাশ্মশানের পুরনো শ্মশানের অধিকাংশ সমাধি ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনো সেখানে ব্রাহ্মণদের ২/৩টি এবং কবি জীবনান্দ দাসের বাবা সত্যানন্দা দাস ও পিতামহ সর্বানন্দা দাস, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী মনোরমা মাসি মা, শিক্ষাবিদ কালি চন্দ্র ঘোষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমাধি রয়েছে।
নতুন-পুরনো মিলিয়ে মহাশ্মশানে ৭০ হাজারেরও বেশি সমাধি রয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ হাজার পাকা, ১২ হাজার কাঁচা মঠ এবং ৮শ’ মঠ রয়েছে যাদের স্বজন এই দেশে নেই। সেইসব মঠগুলো হলুদ রঙ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে