ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরাশক্তির উত্তেজনা বিশ্ব সহযোগিতার পথে কাঁটা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:৪০

পরাশক্তির উত্তেজনা বিশ্ব সহযোগিতার পথে কাঁটা

বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ও আঞ্চলিক সংঘাত বাড়তে থাকায় চরম প্রয়োজনের মুহূর্তেও বিশ্ব সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন।

শনিবার বিকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার ভাষণে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বৈষম্যহীনভাবে চলমান কোভিড মহামারী মোকাবেলায় বিশ্ব নেতাদের উদ্যোগও কামনা করেন বান কি-মুন বলেন, বৈশ্বিক টিকাদান কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের উদ্যোগ বাড়াতে হবে এবং মহামারী থেকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বিত পুনরুদ্ধার কার্যক্রম নিতে হবে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারী থেকে পুনরুদ্ধার দীর্ঘ ও পরিশ্রমসাধ্য হবে। বিশেষ করে, যখন অনেকের জন্য টিকার ক্ষেত্রে অসাম্য বিরাজ করছে। এজন্য দ্রুত সময়ে পুননির্মাণের জন্য কেবল আগের অবস্থায় ফিরে আসা নয়, এর সঙ্গে দরকার পরিবেশসম্মত, টেকসই ও সমন্বিতভাবে ফিরে আসা। এজন্য টিকার বৈষম্য আমাদের দূর করতেই হবে।”

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক পুনরুদ্ধার কেবল শ্লথই নয়, এটা বড় রকমের বৈষম্যমূলকও। এজন্য আমাদেরকে কেবল বহুমুখী আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিলে হবে না, মহামারী পরবর্তী শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিরাজমান রাখার জন্যও কাজ করতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায়ও এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানান জাতিসংঘের সাবেক এই মহাসচিব।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক সমস্যার বৈশ্বিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে। এই সমাধান হতে হবে সহযোগিতামূলক, অংশীদারী ও সংহতির। কারণ পরস্পর সংযুক্ত বিশ্বে কোনো দেশই বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ার সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার, মিশরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা ও ভারতের সাবেক মন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণে বিশ্ব এখনো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন আসছে, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক রীতিনীতি, মানবাধিকারের মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র কি বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ণ করতে পারবে?

“কারণ এর মধ্যে জাতীয়তাবাদ, কর্তৃত্ববাদ, বর্ণবাদ, সন্ত্রাসবাদ, পরমাণু অস্ত্রের বিস্তারের মতো বিষয় রয়েছে। যেগুলো সন্ত্রাসবাদের দিকে ধাবিত করছে, যুদ্ধ বাঁধাচ্ছে আর বিনষ্ট করছে শান্তি।”

এমতবাবস্থায় টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার কীভাবে কাজ করতে হবে, সেটা নতুনভাবে চিন্তা করা উচিত বলে মন্তব্য করে তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সংঘাত বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা্‌ আমাদের দরকার। এটা আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, তাকে ১৯৭৩ সালে জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

“আমরা কেউ সংঘাত ও বলপ্রয়োগ একা বন্ধ করতে পারব না। আমাদের এক হতে হবে এবং সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব নিয়ে একসাথে পথ চলতে হবে, জাতিতে জাতিতে ঘৃণা-বিদ্বেষ দূর করার জন্য।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত