শরীয়তপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান, চলছে কূপ খনন

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পাওয়া গেছে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান। গ্যাসের মজুদের পরিমাণ জানতে করা হচ্ছে কূপ খনন।

নড়িয়ার চামটা ইউনিয়নের দিনারা গ্রামে কূপ খননের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। অনুসন্ধান সফল হলে গ্যাস উৎপাদন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে বলেও জানা যায়।

মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ

এ বিষয়ে বাপেক্সের মহাপরিচালক এবং শরীয়তপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প-১-এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. তোফায়েল সিকদার গণমাধ্যমকে বলেন, এখানকার কূপ থেকে পাওয়া গ্যাসের ডিএসটি [ড্রিল স্টেম] টেস্ট করা হবে। ওই পরীক্ষা ও অনুসন্ধান সফল হলে গ্যাসের মজুতের অবস্থা বোঝা যাবে। যদি সবকিছু অনুকূলে থাকে, তাহলে গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র (প্ল্যান্ট) স্থাপন করা হবে।

বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, শরীয়তপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প-১ খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প। এ কাজ চলবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) পারভেজ হাসান বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান করতে দুই বছরের জন্য ৬ দশমিক ৪৯ একর জমির হুকুম দখল নেয়া হয়েছে। দুই বছরের ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৬ টাকা জমির মালিকদের দেয়া হবে। যদি এর মজুত বেশি থাকে তাহলেই বাপেক্স প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। তখন এই অঞ্চলে শিল্পায়নের সম্ভাবনা তৈরি হবে। জনপদের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে হবেন স্বাবলম্বী।

গ্যাস পাওয়ার খবরে মানুষ যে খুশি সেটি বোঝা গেছে তাদের উচ্ছ্বাসে। তারা একে পদ্মা সেতুর মতোই একটি স্বপ্ন ও সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন; যেখানে গ্যাসকে কেন্দ্র করে শিল্পায়নের ফলে নদীভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে।

সম্প্রতি দিনারা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচ একর জমিতে টাঙানো হয়েছে গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খননের নিশানা। ফসলি জমির চারদিক পাইলিং করে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় ভারী যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার কাজে নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক ও কালভার্ট।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ