ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

শাবির আন্দোলনরত তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

  জার্নালে ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৫৫  
আপডেট :
 ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:১৭

শাবির আন্দোলনরত তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
ফাইল ছবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলমান বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রোববার আন্দোলনরত দুই-তিনশ উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী হঠাৎ কর্তব্যরত পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ধরে টানাটাানি করে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের ওপর চারদিক থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ে।

মামলায় আরও উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটপাটকেল ও ককটেলে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর), জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত), এসআই আসাদুজ্জামানসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। আহত হওয়ার পর তারা ওসমানীতে চিকিৎসা নেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ছোড়া গুলিতে কনস্টেবল সাবিনা আক্তারের বাম পা গুরুতর জখম হয়। ইটপাটকেলে কনস্টেবল সঞ্জিত দাসের ডান হাতের আঙুল ভেঙে যায়। সিআরটির কনস্টেবল ফাহাদ হোসেন অপুর মাথা ইটের আঘাতে ফেটে যায়।

জালালাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান মামলা দায়েরের এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলের সমস্যা নিরসনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পরদিন রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রভোস্ট বডির পদত্যাগ ও হামলার বিচার দাবি করেন।

পরে বিকাল ৪টায় আইআইসিটি ভবনের সামনে উপাচার্যকে মুক্ত করতে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৭টি রাবার বুলেট ও ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে তার বাসভবনে নিয়ে আসে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত