ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিলেট আওয়ামী লীগের একাত্মতা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:২০

শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিলেট আওয়ামী লীগের একাত্মতা
সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে চলমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করতে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। তারা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক উল্লেখ করে একাত্মতা প্রকাশ করে গণস্বাক্ষরও দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা প্রমুখ।

সিলেট আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহল থেকে আমাকে সুরাহার পথ বের করতে বলেছে। আপনাদের প্রাথমিক দাবি-দাওয়া যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়। আলোচনা ও সময় সব কিছু বলে দেবে। আমরা আপনাদের মিথ্যা আশ্বাস দেব না। আপনাদের দাবি-দাওয়া যাতে আদায় হয় সেই লক্ষে আমরা পাশে থাকব। আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে আমরা দেখে এসেছি। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার সঙ্গে আমরা দলীয় ও ব্যক্তিগত ভাবে একত্বতা পোষণ করছি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।

এর আগে, গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে সিরাজুন্নেছা ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেন। এর এক পর্যায় ১৬ জানুয়ারি দাবি আদায়ে ছাত্রীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখলে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করে, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। ওইদিন রাতে পদত্যাগ করেন হল প্রভোস্ট। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত