১২৭৭ আবেদনেও শিক্ষকতা জুটলো না ঝনির!
মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৪৯
এনটিআরসিতে কলেজ-স্কুল দুই ক্ষেত্রেই উত্তীর্ণ। এর ভিত্তিতে আঙুলের কর গুণে ১২৭৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য লড়েছেন শাহনাজ পারভীন ঝনি। যোগ্যতায় ঘাটতি নেই, পদও খালি পড়ে থাকে, তবু মিলছে না তার চাকরি। ফলে শিক্ষকতার স্বপ্ন ও চাকরির প্রয়োজন অপূর্ণ এবং অধরাই থেকে গেলো তার। আশায় আশায় দিন গুণে চাকরির বয়স পার। এ জীবনে বুঝি আর চাকরির দেখা মিললো না তার। তাই এবার মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছেন।
নবম এনটিআরসি পরীক্ষায় স্কুল ও ১১তম এনটিআরসি পরীক্ষায় কলেজে শিক্ষকতার যোগ্যতা লাভ করেন শাহনাজ পারভীন ঝনি। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার রামপুর গ্রামের প্রয়াত মাদ্রাসা শিক্ষক শিহাব উদ্দীনের মেয়ে তিনি। তার মা অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষিকা। স্ট্রোকের পর ব্রেন অপারেশন হয়েছে তার।
শাহনাজ পারভীন ঝনি জানান, ঘুষ ছাড়া চাকরির আশায় এনটিআরসিকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ফলে স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতার আশায় ৩ দফায় ১২৭৭টি প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করেন তিনি। এ বাবদ গাঁটের টাকা ব্যয় হয়েছে তার পাক্কা ২ লাখ! টানাপোড়েনের সংসারে এ টাকা জোগাড় করতে সর্বস্বান্ত এখন ঝনি।
তার অভিযোগ, পদ খালি থাকা সত্ত্বেও এনটিআরসি কর্তৃপক্ষের দুর্বোধ্য নিয়োগ নীতির কারণে একাধিকবার চাকরিবঞ্চিত হতে হয় তাকে। এর সুরাহা পেতে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। তবু কোনো সমাধান হয়নি। একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ততোধিক অসহায় ঝনির কপাল খোলেনি কোনো কিছুতেই।
তার ভাষ্য, ন্যায়বিচার করা হয়নি তার সাথে। এভাবে অপেক্ষায় থেকে থেকে নতুন করে চাকরির আবেদনের বয়সও ফুরিয়েছে তার। বিয়েও হয়নি। সঙ্গী-সাথীদের কেউ বাকি নেই বিয়ের। ফলে নানা বঞ্চনা-হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন তিনি।
শাহনাজ পারভীন ঝনির প্রশ্ন, যোগ্যতা থাকা সত্বেও কেনো তার এ বঞ্চনা? সরকার কি পারেন না তার একটা ব্যবস্থা করতে? কি ক্ষতি সরকারের তার একটা সুব্যবস্থা করে দিলে? প্রধানমন্ত্রীর একটু সুনজর পেলেই জীবনের মোড় ঘুরে যেতে পারে তার। সে ব্যবস্থা কি হবে তার, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে