ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দাবি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:২৫

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দাবি

এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আবু নাসের খান।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় গঠিত নাগরিক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান।

এসময় নাগরিক তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ১৩ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো-

এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ ট্রাজেডির জন্য শুধু মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারের শাস্তি নয়, দায়ী সকলকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে, দুর্ঘটনায় নিহত পরিবার ও আহতদের ক্ষতি পূরণের আইন প্রণয়ন, টাকার পরিমাণ নির্ধারণ এবং দুর্ঘটনায় জন্য দায়ী (নৌযান মালিক/ মাস্টার/ ড্রাইভার/ সরকারি কর্মকর্তা) ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করতে হবে, প্রত্যেক যাত্রীবাহী নৌযানে আনসার/ সিকিউরিটি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে, যাত্রীবাহী লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ, প্রবেশ পথ, মাস্টার ব্রিজসহ স্পর্শ কাতরস্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন, যেকোনো নৌযানের নকশায় অগ্নি-নিরাপত্তার বিষয়টি যুক্ত, সে অনুযায়ী নকশা অনুমোদন এবং যথাযথভাবে নকশা অনুকরণ করে নৌযান নির্মাণ করতে হবে, নতুন নৌযানে অগ্নি-নিরাপত্তা সঠিক আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের ছাড়পত্র গ্রহণএবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক প্রতি তিন মাস পরপর তা পরীক্ষা করা।

এছাড়া চলমান নৌযানগুলো বিশেষ করে লঞ্চ ও অন্যান্য যাত্রীবাহী নৌযানের অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থায় ক্রটি-বিচ্যুতি আছে কিনা, তা আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পরীক্ষা করা, লঞ্চের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনে দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না, ইঞ্জিন কক্ষের পাশ থেকে খাবারের হোটেল সরিয়ে নিতে হবে ও আশেপাশে জ্বালানি তেলসহ কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা, নৌযানের ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগলে তা দ্রুত নেভানোর জন্য স্থায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড সরবরাহ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা, নৌযানের সকল কর্মীকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র পরিচালনার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বছরে অন্তত একবার মহড়ার ব্যবস্থা করা, প্রত্যেক নাবিকের ইউনিফর্ম পরিধান বাধ্যতামূলক করতেহবে এবং আইএসও ৫৮(ক) ধারা মোতাবেক যাত্রীবাহী নৌযানের বীমা অথবা নৌ দুর্ঘটনা ট্রাস্ট ফান্ড বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়রের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, যুক্তরাজ্য নৌ প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ, নাগরিক উদ্যোগর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত