ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

অন্তঃসত্ত্বা ভাগ্নী, ধর্ষণের অভিযোগ মামার বিরুদ্ধে

  ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:৩৫

অন্তঃসত্ত্বা ভাগ্নী, ধর্ষণের অভিযোগ মামার বিরুদ্ধে
ছবি- প্রতিনিধি

ঢাকার ধামরাইয়ে নিজ ভাগ্নীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী এখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানায় তার পরিবার।

রোববার বিকেলে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আমির হোসেন আমু নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকালে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই উপজেলার কাউয়ালিপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লা জানান, গত দুইদিন আগে ধর্ষণের ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী জানায়, গত চার মাস আগে আমির হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে যায় তার ভাগ্নী। রাতে আমির হোসেনের মেয়ের সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমিয়েছিল ভুক্তভোগী। পরদিন সকালে আমির হোসেনের মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। এই সুযোগে ওই কক্ষে ঢোকে নিজ ভাগ্নীকে ধর্ষণ করে আমির হোসেন। এসময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে আমির হোসেন তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যার ফলে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার চুপ হয়ে যায়। পরে গত এক মাস আগে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন দেখা গেলে মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হলে সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।

এরপর ভুক্তভোগীকে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,আমার মামা আমির হোসেন আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার করলে আমির হোসেন আমাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয় দেখালে আমি ভয়ে বিষয়টি চেপে যাই।

কেন এতদিন বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি বা থানায় কোনো অভিযোগ করা হয় নি এমন প্রশ্নে ভুক্তভোগীর মা বলেন, অনেক চেষ্টা করেছি থানার আশ্রয় নিতে। কিন্তু পারি নি। কারণ আমার পরিবারকে সব সময় হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আমার ভাই। কোনো কিছু করলে পুরো পরিবারকে দেখে নেবে বলছে। আমার মেয়ে ও আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে একাধিকবার। ভয়ে কিছুই করতে পারি নি। আজ গোপনে থানায় এসে অভিযোগ করেছি। তাও জানলে আমির হোসেন বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, নিজের ভাগ্নীর সঙ্গে যে এতো জঘণ্য কাজ করতে পারে তার উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, আমির হোসেন একজন মাদকসেবী ও খারাপ চরিত্রের লোক। নারী কেলেঙ্কারির মতো জঘণ্য ঘটনা তার আরো রয়েছে। একাধিকবার জরিমানাও দিয়েছে। কিন্তু নিজের ভাগ্নীর সঙ্গে এ কাজ মেনে নেয়া যায় না। তার কঠিন বিচার হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে কাউয়ালিপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লা বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি আমির হোসেনকে সোমবার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/পিএল

  • সর্বশেষ
  • পঠিত