মনোহরগঞ্জ ইউপি নির্বাচন
প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রার্থীদের আবেদন
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:২১
ইউপি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছে আবেদন করেছেন।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গিয়ে তারা এই আবেদন করেন। আবেদন করা চার চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, উপজেলার ঝলম উত্তর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সরসপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মজুমদার ও একই ইউপির জসিম উদ্দিন এবং লক্ষণপুর ইউপিতে আবদুল বাতেন।
নির্বাচন কমিশনারের কাছে দেয়া আবেদনে প্রার্থীরা উল্লেখ করেন, ষষ্ঠ ধাপে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের বাধা দেয়। এরপর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর আপনাকে (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) লিখিত আকারে বিষয়টি অবগত করি। এ বছরের ২ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানের জন্য আবেদন করি। ৩ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় আদালত কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমাদের মনোনয়ন ফরম দেয়ার নির্দেশ দেন। মনোনয়ন ফরম দেয়া হয় বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে। তবে কুমিল্লা থেকে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে মনোনয়ন ফরম দাখিল করতে পারিনি। এরপর ১৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে আরেকটি রিট করা হয়। এতে বলা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবেদনকারীদের মনোনয়ন ফরম জমা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। ১৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের আদেশের কপি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হয়। ২০ জানুয়ারি আমাদের মনোনয়ন ফরম জমা নেন। কিন্তু মনোনয়ন ফরম জমা নেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ থাকা সত্ত্বেও দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ দেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুঞ্জুরুল আলম বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকেই তারা ব্যবস্থা নেবেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছি।
ঝলম উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, আশা করি, ভোট গ্রহণের ধার্য তারিখের আগেই প্রতীক বরাদ্দ পাব। ভোটারের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ
