ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মিরসরাইয়ে বিদ্যুৎ সংযোগে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

  মিরসরাই প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:৪৫

মিরসরাইয়ে বিদ্যুৎ সংযোগে অর্থ আদায়ের অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় কয়লা গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এখানকার ৯০টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগে ২৪শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে এবং না দিলে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে ভূক্তভোগী লোকজন অভিযোগ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।

জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ি দুর্গম জনপদে বসবাস করে প্রায় ৯শ পরিবার। বিভিন্ন সময় অন্ধকারে নিমজ্জিত কয়লা গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গণমাধ্যমের ভূমিকাও চিলো উল্লেখযোগ্য।

অবশেষে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর অধীনে প্রথমধাপে এখানকার ৯০ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অথচ প্রক্রিয়ার শুরুতেই এসব পরিবার থেকে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

ইউএনওকে দেয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ বারইয়ারহাট জোনাল অফিসের অনুমোদিত ইলেক্ট্রেশিয়ান সাইফুল ইসলাম বিদ্যুৎ সংযোগের নামে কয়লা গ্রামের পরিবারগুলো থেকে ২৪শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। এছাড়া এলাকার লোকজন চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ এর সভাপতি জাবেদ ইকবালকে এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ দিলে উল্টো তিনি এলাকার লোকজনকে হুমকি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে গত ২৩ জানুয়ারি কয়লা গ্রামবাসীর পক্ষে মো. হানিফ ও মোহাম্মদ আলমগীর নামে দুই ভূক্তভোগী ইউএনও মো. মিনহাজুর রহমানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) নূর মোহাম্মদ আজম মজুমদার জানান, একটি সংযোগে প্রতি কিলোওয়াট ফি ৪শ টাকা। কিলোওয়াট বাড়লে সর্বোচ্চ ২শ টাকা বাড়বে। এছাড়া আবেদন ফি ১১৫ এবং সদস্য ফি ৫০ টাকা। এর বেশি নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

অবশ্য এ বিষয়ে কথা বলতে ইলেক্ট্রেশিয়ান সাইফুল ইসলামকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এবং শুক্রবার সকাল থেকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ এর সভাপতি জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘২৪শ থেকে ৩ হাজার টাকা নেয়ার বিষয়টি সত্য নয়। অফিস খরচ নেয়া হচ্ছে ৯শ ৬৫ টাকা। বিভিন্ন খরচ বাবদ বাকি ৫শ ৩৫টাকাসহ মোট ১৫শ টাকা নেয়া হচ্ছে।’

গ্রাহকদের হুমকি দেয়ার প্রসঙ্গে জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি। হুমকি দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ ধরণের প্রমাণ কেউ দিতে পারলে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিবো।’

ঘরের ওয়ারিং ইলেক্ট্রেশিয়ান সাইফুলকে দিয়ে করতে হবে না হয় বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে না এমন অভিযোগের বিষয়ে জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘ওই এলাকায় ৩জন ইলেক্ট্রেশিয়ান রয়েছে। আমরা তাদের ৩টি এলাকা ভাগ করে দিয়েছি।’

অথচ এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ এর জিএম নূর মোহাম্মদ আজম মজুমদার জানান, ওয়ারিং এর বিষয়টি গ্রাহকদের একান্ত ব্যাপার। তারা বিদ্যুৎ বিভাগের যে কোন ইলেক্ট্রেশিয়ানকে দিয়ে করতে পারবে।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। আগামী ৩১ জানুয়ারি উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ বিষয়টিও আলোচ্যসূচির মধ্যে রাখা হয়েছে। সেখানে জনপ্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত