লক্ষ্মীপুরে জেলেদের জালে উঠলো বিরল প্রজাতির মাছ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:৪৬
লক্ষ্মীপুরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির একটি মাছ। মাছটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ডোরাকাটা দাগ। মাছটি ধরা পড়ার পর থেকে সেটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। এটির আনুমানিক ওজন হবে এক কেজি। স্থানীয় গোবিন্দ মাতব্বর তিনশ টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন।
মৎস্য বিভাগ বলছে, মাছটি ‘সাকার মাউথ ক্যাট ফিস’ নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হাইপোসটোমাস প্লিকোসপোমাস। মাছটি না মেরে জেলেদের নদীতে অবমুক্ত করে দেয়ার পরামর্শ দেয় মৎস্য বিভাগ।
রোববার বিকেলে পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকায় মাছটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। এর আগে গতকাল শনিবার এক জেলে মাছটি বিক্রি করতে জেলা শহরে নিয়ে আসেন। এক হাজার টাকা দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করা হয় তিনশ টাকায়। ওইদিন মাছটি মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে।
উৎসুক জনতা জনৈক মানিক বলেন, আমি কখনো এই প্রজাতির মাছ দেখিনি। তবে মাছটির দৃষ্টিনন্দন। ডোরাকাটা মাছটি এক নজর দেখার জন্য ছুটে এসেছি।
ক্রেতা গোবিন্দ মাতাব্বর বলেন, শনিবার মাছটি বিক্রির জন্য শহরে নিয়ে আসে এক জেলে। অচেনা মাছটির কোনো ক্রেতা মেলেনি। তবে এটি দেখকে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়। বিরল প্রজাতির মাছটি মেরে ফেলতে পারে- এমন চিন্তায় শখের বসে মাছটি তিনশ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। সেটিকে দুইদিন ঘরে পানি দিয়ে জিইয়ে রাখি। তবে তিনি মাছটিকে না মেরে খালের পানিতে অবমুক্ত করে দিবেন বলেও জানান।
সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, মাছটি নদীর অতি তলদেশে গভীর পানির মাছ। ফলে এটি সহজে ধরা পড়ে না। স্রোতের তোড়ে মাছটি খালে ঢুকে পড়েছে। মাছটি ‘সাকার মাউথ ক্যাট ফিস’ নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হাইপোসটোমাস প্লিকোসপোমাস। এমন বিরল প্রজাতির মাছ ধরা পড়লে মাছটি না মেরে জেলেদের নদীতে অবমুক্ত করে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে