মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে তরুণীকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জিম্মি
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১৮:১০ আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১৮:১১
মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রলোভনে কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জিম্মি রাখা ফাতেমা বেগম (১৮) নামে এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মানব পাচারচক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
বুধবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান চালানো হয়। ১৬ এপিবিএন'র অধিনায়ক মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান এ তথ্য জানান।
ভুক্তভোগী ফাতেমা রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে। আটককৃতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-২ ব্লকের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে ইমাম হোসেন (৩৭), একই ক্যাম্পের মৃত ছৈয়দ হোসেনের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩০) এবং টেকনাফের ২৪ নম্বর লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১৮ ব্লকের ইমাম হোসেনের মেয়ে মাহমুদা খাতুন (৩২)।
তারিকুল বলেন, বুধবার দুপুরে টেকনাফের ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন সদস্যদের একটি টহলদল দায়িত্ব পালন করছিল। ক্যাম্পটির এ-২ ব্লকে জড়ো হওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এপিবিএন সদস্যরা তাদের থামার জন্য নির্দেশ দেয়। লোকগুলো এপিবিএন সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করে এক নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
পরে আটকদের দেয়া তথ্যমতে, টেকনাফের ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভনে জিম্মি রাখা ফাতেমা বেগম নামের ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
এপিবিএন কর্মকর্তার ভাষ্য, আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, ওই তরুণীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভনে গত তিনদিন আগে রামু থেকে কৌশলে নিয়ে এসে শালবাগান রোহিঙ্গা জিন্মি করে রাখা হয়। উদ্ধার হওয়া তরুণীকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর এবং আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
