ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার: তিনজনের আমৃত্যু ও আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ মে ২০২২, ১৫:৪৮

কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার: তিনজনের আমৃত্যু ও আটজনের যাবজ্জীবন
প্রতীকী ছবি

প্রায় ১৩ বছর আগের কুষ্টিয়ার আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় তিন আসামির আমৃত্যু এবং আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম দণ্ডপ্রাপ্তদের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন চরমপন্থী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিল বলে জানা গেছে।

মামলার আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পুতলাডাঙ্গা গ্রামের আসকর আলীর ছেলে ফারুক সদ্দার, সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাহাক আলী মাস্টারের ছেলে কালু ওরফে কফিল উদ্দিন ও শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার কালো মজনুর ছেলে রোহান।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মন্ডলের ছেলে ফারুক মন্ডল, ভায়না গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের জলিল শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ, এছেম শেখের ছেলে মনোয়ার শেখ, আনছার শেখের ছেলে আকাম উদ্দিন, ওয়াহেদ আলী জোয়াদ্দারের ছেলে জমির উদ্দিন, ইবি থানার খোর্দ্দবাখইল গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নুরাল ওরফে নুরুল, সদর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের ওম্মাদ মন্ডলের ছেলে খাকচার মন্ডল।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট সকালে কুষ্টিয়া শহরের ডিসি কোট সংলগ্ন গণপূর্ত অফিসের প্রাচীরের সঙ্গে একটি চটের ব্যাগের মধ্য স্থানীয় শামসুজ্জোহা, কাইয়ুম ও আইয়ুবের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়। পরদিন সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে পাওয়া যায় তাদের দেহ। এ ঘটনায় নিহত কাইয়ুমের ভাই আব্দুল হাই বাদী হয়ে ১০ আগস্ট কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, এলজিইডির ১৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাদের হত্যা করা হয়। যাদেরকে খুন করা হয়েছে তারা এবং আসামিরা সবাই জাসদ গণবাহিনীর দুটি দলের সদস্য।

মামলার রায়ের মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিন পর আসামিরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেলো বলে মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত