ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

পি কে হালদার ইস্যুতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২২, ২০:২২

পি কে হালদার ইস্যুতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার কী কী উপায় আছে, তা চিহ্নিত করার পাশাপাশি ‘প্রয়োজনে’ একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।

বৈঠক প্রসঙ্গে দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, কমিশনের অনুরোধে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সভা হয়। পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনা এবং তার মাধ্যমে বাংলাদেশের যে টাকা ভারতে চলে গেছে তা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং বাংলাদেশে ইন্টারপোল অথরিটিকে আইনি কার্যকরী, ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা পরশু (মঙ্গলবার) অনুরোধ জানাই। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে এ সভা ডাকে।

মাহবুব খান বলেন, মিটিংয়ে আসামি প্রত্যর্পণ আইনসহ সমস্ত আইন-বিধির যে সমস্ত বিধান আছে, এগুলো ব্যবহার করে কীভাবে তাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারি, সে ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হয়।

পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ ব্যবহারের বিষয়েও সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ভারত থেকে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমাদের যে সমস্ত প্রমাণ প্রদর্শনের দরকার আছে, সেগুলো সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে কাজ সহসায় আমরা শেষ করব। কূটনৈতিক ও অন্যান্য চ্যানেল ব্যবহার করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনার আশা প্রকাশ করে দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, দুদক একা নয়, সংশ্লিষ্ট সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে আমরা সফলকাম হব।

পি কে হালদার এবং ভারতে তার পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রয়োজনে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি করে ভারত সফরের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়, তবে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। তার বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একাধিক মামলা করেছে।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে দেশত্যাগ করেন পিকে হালদার। এর আগের দিন পি কে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ডাকযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশ বরাবরে চিঠি পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই চিঠি ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পৌঁছায়।

নানা কৌশল করে এসব প্রতিষ্ঠান দখল করেছেন মূলত একজন ব্যক্তি। প্রতিষ্ঠান দখল করার জন্য নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলেছেন, শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন, দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত