ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

উপকূলীয় এলাকায় আধুনিক আশ্রয়ণ প্রকল্প বাড়ানো হচ্ছে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২২, ১৭:৩৯

উপকূলীয় এলাকায় আধুনিক আশ্রয়ণ প্রকল্প বাড়ানো হচ্ছে
ছবি- সংগৃহীত

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় আধুনিক আশ্রয়ণ প্রকল্প বাড়ানো হচ্ছে। আরও আশ্রয়কেন্দ্র দরকার। সেখানে সুপেয় পানির ভয়ংকর সমস্যা। আমি জানি, আমার মা-ভাইও কলেরায় মারা গিয়েছে। পুকুরের পানি, নদীর পানি আমিও পান করেছি।

তিনি বলেন, বাংলার প্রাণ উপকূল। অথচ উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন সংস্কার বা উন্নয়নমূলক কাজে দুর্নীতিও যে হচ্ছে না, সেটা বলবো না।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে “দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের উন্নয়ন: প্রয়োজন জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ” শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং ফেইস ইন অ্যাকশন যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।

ভূমি সংস্কারে সমন্বয়হীনতার আড়ালে যে অপচয় তা রোধ করতে সমন্বয়ের ওপর জোর দিয়ে এম এ মান্নান বলেন, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ভূমির অধিকার সমুন্নত রাখতেই হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য ভূমিকে বসবাস উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য নানামুখী কাজ আমরা করছি। তবে এটাও স্বীকার করতেই হবে- বেশি কাজ, বেশি সংস্কারের ফলে এক ধরনের সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এসব সমন্বয়হীনতার আড়ালে যে অপচয় তা রোধে অবশ্যই আমাদের সমন্বয় করতে হবে।

সেমিনারে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে যে বাজেট দেওয়া হয় তা বাড়ানোর পাশাপাশি দেখভালেও আরও মনোযোগী হওয়া দরকার। যে বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল সেগুলোর অবস্থা এখন খুব খারাপ। এসব বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা উচিত। সাইক্লোন সেন্টারের ডিজাইন পরিবর্তনও করা দরকার। এখানে একসঙ্গে বাবা-মা, ভাই-বোন-বাচ্চা সবাইকে নিয়ে থাকা যায় না।

সম্প্রতি উপকূলীয় অঞ্চল ঘুরে আসা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে পানির সমস্যা থাকবে, কিন্তু সেটার সমাধান থাকবে না তা হতে পারে না। জীবনটাই তাদের একমাত্র সম্বল। জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের সংগ্রাম করতে হয়। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হন উপকূলবাসী। আমাদের যে ধরনের আশ্রয়কেন্দ্র, তাতে দুর্যোগকালীন তারা সবাই আশ্রয় নিতে পারেন না।

তিনি বলেন, স্থল ও উপকূলীয় এলাকার বাজেট একই হতে পারে না। তাই উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। বর্ষা মৌসুমে কঠিন একটা পরিস্থিতির সম্মুখীন হন উপকূলবাসী। দুর্বল বাঁধও বড় সমস্যা। বাঁধ নির্মাণ সঠিকভাবে না করতে পারলে উপকূলবাসীর দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমানো সম্ভব নয়। এসময় উপকূলীয় বোর্ড গঠনের দাবি জানান তিনি।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, একাত্তর টেলিভিশনের উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য এবং ভুক্তভোগী জনগণের পক্ষে খুলনার কয়রা উপজেলার বাসন্তী রানী মণ্ডল প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত