ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভোলায় সদ্য সমাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি

  ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২২, ২২:৪৮

ভোলায় সদ্য সমাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি
ছবি: প্রতিনিধি

নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোলায় সদ্যসমাাপ্ত হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীরা।

সোমবার (৫ জুন) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ জুন শুক্রবার ভোলা জেলায় ২৫টি কেন্দ্রে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষায় জেলায় ২৪৪টি শূণ্যপদের বিপরীতে ১৫হাজার ৬৩৭জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অনুষ্ঠিত হওয়া এ নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র নানাবিধ অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়েছে। পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে সকল প্রকার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেকেই অনৈতিকভাবে হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও হলে ঘড়ি নিষেধ ধাকলেও অনেক কেন্দ্রে হলরুমে ঘড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এতে করে পরীক্ষার্থীরা সময় নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন।

ওএমআর শিট পূরণের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ থাকলেও অনেক কেন্দ্রে সেই সময় দেয়নি কক্ষ পরিদর্শকরা। কিছু কিছু কেন্দ্রে নির্ধারিত সেট কোডের বিপরীতে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ভুলটা পরিবর্তন করে সঠিক প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। হল পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি থাকায় এমনটা হয়েছে। এতে করে পরীক্ষার্থীদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এ পরীক্ষায় সবচেয়ে বড় অনিয়ম ছিলো হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়া হয়। কক্ষ পরিদর্শকদের সামনে মোবাইল ব্যবহার করা হলেও তারা ছিলেন নীরব দর্শক। হলের বাইরে থেকে মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা এবং চিরকুট পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া অনিয়মগুলো অংশগ্রহনকারীরা শেয়ার করেছেন। যা থেকে জানা গেছে, অধিকাংশ কেন্দ্রেই এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এ অনিয়মের কারনে ৩জনকে কারাদণ্ড ও পাঁচ জনকে বহিষ্কার করা হলেও বাকীরা ছিলো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তারা আরও অভিযোগ করেন, পরীক্ষার দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা ছিলে প্রশ্নবৃদ্ধ। অসদুপায় অবলম্বন করে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষকরা নিয়োগ পেয়ে নতুন প্রজন্মকে কতটুকু শিক্ষা দিতে পারবেন তা সকলের জানা। আর এ সকল দুর্নীতিবাজদের কারনে মেধাবীরা বঞ্চিত হবেন শিক্ষকতা নামক মহান পেশা থেকে। এরকম পরিস্থিতিতে ভোলায় অনুষ্ঠিত হওয়া প্রাথমিক সহকারি নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনাসহ পূর্বের পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী মো. নোমান, আরিফ হোসেন, ইমরান হোসেন খাঁন প্রমূখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত