ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বাঁধ ভেঙে জামালপুরে বহু এলাকা প্লাবিত, উপজেলা চত্বরে হাঁটু পানি

  জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ জুন ২০২২, ১৯:৩২

বাঁধ ভেঙে জামালপুরে বহু এলাকা প্লাবিত, উপজেলা চত্বরে হাঁটু পানি
ছবি: প্রতিনিধি

জামালপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় যমুনাপাড়ের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে। বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে।

যমুনার পানির তোড়ে নদীপাড়ের তীরবর্তী মাদারগঞ্জের গাবের গ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ২০০ মিটার ধসে বন্যার পানি প্রচণ্ড বেগে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল।

জেলার দেওয়ানগঞ্জের চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতিভাঙ্গা, পার রাম রাম পুর, চর আম খাওয়াসহ ৬টি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফলে অফিসিয়াল কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। উপজেলা চত্বরে বন্যার পানি হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত উঠেছে।

এদিকে ইসলামপুর-মাহমুদপুর সড়কের আমতলী ড্রাইবেশন, পাথর্শী-আমতলী সড়কের বলিয়াদহ ড্রাইবেশন, পচাবহলা-উলিয়া সড়কের ধর্মকুড়া ড্রাইবেশন তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে দেলিরপার-বামনা সড়ক। এসব সড়কে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ হয়েছে জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলায় ৯০টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বাকিগুলো পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়নি। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারিভাবে জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবিলা ৮৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত