কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সহনীয় পর্যায়ে নিত্যপণ্যের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২২, ২১:০৩
দেশের বাজারে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে যখন বাড়ে, তখন দেশে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অধিক পরিমাণে বাড়ানো হয়, যখন কমে তখন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সমপরিমাণ কমানো হয় না-এই বক্তব্য ঠিক নয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, জাপান, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ২০৩টি দেশে ৭৫১টি পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে এবং পণ্য রপ্তানি করে এই সময়ে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন পূর্বে সয়াবিন তেল মজুত করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে দাঁড় করানোর অপচেষ্টার জন্য দায়ীদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সয়াবিন তেল মজুত করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালিত বাজার মনিটরিং টিম দায়ী ব্যক্তিদের জরিমানা করেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও রুজু করা হচ্ছে।
এছাড়া সয়াবিন তেলের বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী বা রিফাইনারি মিলগুলোতে, পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজার তদারকি বা অভিযান চালানো হয়েছে। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে ৯ হাজার ৭৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস