ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাঁচ কোটির টাকার ভুয়া বিল পাসের চেষ্টা, ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২২, ২২:০৩

পাঁচ কোটির টাকার ভুয়া বিল পাসের চেষ্টা, ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্র দাখিল করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ভুয়া বিল পাস করানোর অপচেষ্টার অভিযোগে হাসপাতালের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফোরকান আলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে অভিযোগ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাতের কাছে অভিযোগপত্র পৌঁছে দেন জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

ফজলে রাব্বি অভিযোগ জমা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি ৪ জনের নাম উল্লেখ না করলেও হাসপাতালের প্রধান হিসাবরক্ষক ফোরকান ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ৩ জনের নাম রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিলের বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তারা বলছেন, ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরি দেখিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিল দাখিল করে। এই কাগজপত্রগুলো জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এজি অফিসে জমা দেয়। তখন এজি অফিস বলে ব্যয় মঞ্জুরি পত্রটি ভুয়া। এসব বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রটি ঢাকায় হেড অফিসে পাঠিয়ে দেব। ঢাকা থেকে যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া আছে। এর মধ্যে একজন হাসপাতালের, বাকিরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।

এদিকে জালিয়াতির ঘটনায় তিন সদস্যরে তদন্ত কমিটি গঠন করছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়। এতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহকে সভাপতি ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়াকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়ছে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াচ চৌধুরীকে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আটটি আইসিইউ বেড ও অন্যান্য সামগ্রী কেনা হয়। অনিয়মের অভিযোগে এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করে। এরপর প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার ওই বিলটি আটকে যায়।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিলটি ছাড়ানোর জন্য তৎপর হয়ে ওঠে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ হাসপাতালেরই একটি চক্র। এর মধ্যে গত ২৮ জুন জেনারেল হাসপাতালের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফোরকান জেনারেল হাসপাতালের বিলের কাগজে বসিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আটকে যাওয়া একটি ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিল পাশ করানোর চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় তাকে আটক করার গুঞ্জনও শুনা যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত