ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

নড়াইলে সাড়ে ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২২, ১২:৩১

নড়াইলে সাড়ে ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ
ছবি: সংগৃহীত

চলতি মওসুমে নড়াইল জেলার ৩ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানায় এ জেলায় ২২ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে।

আবাদকৃত জমিতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪১০ বেল পাট উৎপাদনের সম্ভাবনা বয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৯০৩ বেল পাট। লোহাগড়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮২ বেল পাট। কালিয়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২৫ বেল পাট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার, লোহাগড়া উপজেলার এবং কালিয়া উপজেলার মাঠের পর মাঠ পাট গাছ বাতাসে দোল খাচ্ছে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাট কাটা শুরু হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। বোরো ধানের পর পাট চাষে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার স্বপ্নে বিভোর কৃষাণ-কৃষাণীরা।

নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় জানান, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পাট চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণ, পরামর্শ, মাঠ দিবস, উঠান বৈঠক, নতুন-নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। গত কয়েক বছর বাজারে পাটের দাম সন্তোষজনক থাকায় এ অঞ্চলে পাটের চাষ দিন-দিন বাড়ছে। যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জুট মিলে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা পাট চাষে ঝুঁকছেন বলে তিনি জানান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার জানান, পাট ও পাটখড়ির চাহিদা দিন-দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরাও পাট চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। প্রতি বছর পাট চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা। গত কয়েক বছর ধরে অনেক প্রান্তিক ও বর্গাচাষি অর্থকরী এ ফসল চাষে সাফল্য পেয়েছেন। লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে দিন-দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাট চাষ।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

সূত্র: বাসস

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত