ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২২, ১৯:২২

পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা
ছবি- সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে মসজিদের দান সিন্দুক খোলার পর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টাকা গণনা শেষে এই হিসাব পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা-আইসিটি) মো. গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে এলাহী, শফিকুল ইসলাম, উবায়দুর রহমান সাহেল, মাহবুব হাসান, সিরাজুল ইসলাম, সুশান্ত সিংহ, নাবিলা ফেরদৌস, ফাতেমা তুজ জোহরা, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১২ মার্চ পাগলা মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। তবে গতবারের চেয়ে এবার কিছু কম টাকা পাওয়া গেছে।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুকগুলো খুলে দানের টাকাগুলো প্রথমে ১৬টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণনার জন্য। সন্ধ্যা ৬টার দিকে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়াও করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেয়া হয়েছে এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন জানান, এই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করেন।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। মসজিদটির পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।

ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদটিকে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামিক কমপ্লেক্সে করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ ব্যয় করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত