ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

দিনাজপুরের কাহারোলে জমজমাট সাপ্তাহিক পশুর হাট

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২২, ০৩:১১

দিনাজপুরের কাহারোলে জমজমাট সাপ্তাহিক পশুর হাট

উত্তরবঙ্গের সর্ব বৃহৎ দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা চত্বরে কাহারোল পশুর হাট জমে উঠেছে। কোরবানীর পশুর ক্রয় বিক্রয়ের জন্য দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলাসহ রংপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও জেলা ও উপজেলার অর্ধলক্ষ মানুষের জামায়েত হয়।

প্রতি সপ্তাহের শনিবার এই পশুর হাট বসে তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা এই পশুর হাটে পশু ক্রয় বিক্রয় করার জন্য উপস্থিত হয়ে থাকেন।

গতকাল শনিবার কাহারোলের পশুর হাটে দেখা গেছে, প্রায় দুই একর জায়গার উপর পশুর হাটটি বসেছে । এছাড়াও পাশের সড়কের উপর গরু ছাগলের হাট বসেছে। পশু নিয়ে অনেক বিক্রিতেরা পশু নিয়ে সকালেই পৌঁছে যায়। ফলে শনিবার সকাল ১১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত পশু বেচা বিক্রি পুরোদমে শুরু হয়।

বিকাল ৩ টার পর থেকে গরুর হাট ভেঙ্গে যেতে শুরু করে বিকাল ৫ টার মধ্যেই পশুর হাট একেবারেই ফাঁকা হয়ে যায়। কোরবানী উপলক্ষে পশুর উপস্থিতি একটু বেশি ছিলো। পশুর হাটে বিক্রেতা আর ক্রেতাদের মাঝে চলে দরকষাকষি। এ সময়ে পশু হাটে একে বারেই পা রাখার জায়গা ছিলোনা। দেশের বিভিন্ন জেলার থেকে ব্যাপারীরাও পশু ক্রয় করার জন্য গাড়ী নিয়ে চলে আসেন।

এছাড়া এই খানসামার পশুর হাটে ভারতীয় গরুও দেখা গেছে । স্থানীয় কয়েকজন গনমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, প্রতি বছর কোরবানী উপলক্ষে এই কাহারোল পশুর হাটে দেশীয় গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুও বিক্রি হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে হাট কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন তৎপরতা দেখায় না।

কাহারোল পশুর হাটে গরু বিক্রেতা খায়রুল আলম জানান , আমি ৭টি গরু বিক্রি করতে এসেছি । ৬ টি গরু ইতোমধ্যে বিক্রি করেছি। একটা গরু আমার হাতে আছে এটাও বিক্রি হয়ে যাবে আশা করছি। যে ৬টি গরু বিক্রি করেছি প্রতিটি গরু বিক্রি করে লাভবান হয়েছি।

গরু বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন এ বছর গো খাদ্যের দাম অনেক বেশি। তাই এ বছর গরুর দাম একটু বেশি। দুটি গরু বিক্রি করার জন্য এসেছি। এখন পর্যন্ত একটিও বিক্রি করতে পারিনি। ক্রেতারা তেমন দাম বলতেছে না। তাই গরু ফেরত নিয়ে যেতে হতে পারে।

গরু ব্যবসায়ী আজম জানান, তিনি ৪টি গরু ক্রয় করে হাটে নিয়ে এসেছিলাম। ৩টি গরুর বিক্রি করেছেন ও ১টি ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। ৩টি গরুতে ৬ হাজার টাকা লোকসান করে বিক্রি করতে হয়েছে।

গরু ব্যবসায়ী নুরুল আমিন জানান,আমি নোয়াখালী থেকে এসেছি । আমি ৬টি গরু ক্রয় করেছি । আর ৪ টি গরু ক্রয় করব । তবে এবছর গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশি । শনিবার কাহারোল হাটে প্রাণী সম্পদ অফিসের কোন লোকজনকে দেখা গেছে । তারা কোরবানীর জন্য গাভী গরুর প্যাকনেন্সি পরীক্ষা করছে । কোন গরু অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে ।

কাহারোল পশুর হাট ইজারাদারের প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাহারোল পশুর হাটের অনেক ঐতিহ্যবাহী ও সুনাম রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু ব্যাপারীরা এখানে গরু, মহিষ, ঘাসি ক্রয় করতে আসেন। এই হাটে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, রংপুর জয়পুরহাটসহ আশপাশের জেলা থেকে বিক্রেতারা গরু বিক্রি করতে আসে।

এসময় স্থানীয় প্রশাসন ও আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা তাদের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। এছাড়া কোরবানীর সময় ২০ হাজার গরু, ছাগল বেচা বিক্রি হয়ে থাকে। এই পশুর হাটে এখন প্রায় ৫০ কোটি টাকার অধিক লেনদেন হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত