ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২২, ০৮:৪১

স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) এম. জি আযম এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম আছাফুর রহমান (৪১)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি গ্রামের আরিফ সরদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন আছাফুর। এতে সাড়া না দেয়ায় ওই ছাত্রীকে অপহরণের হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে ২০১১ সালের ৭ নভেম্বর ওই ছাত্রী তার ফুফুর বাড়ি খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার বাঁকায় যাওয়ার সময় তাকে অপহরণ করেন আছাফুর।

এরপর ওই বছরের ৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় জাহাঙ্গীর মাস্টার আছাফুরের কাছ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার বাবার হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় ২১ নভেম্বর ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে আছাফুরের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় মামলা করেন। এরপর ২৪ নভেম্বর ওই ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে পুলিশ আছাফুরকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপ-পরিদর্শক আবু জাফর ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে আছাফুরের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ১ জুলাই আছাফুরের বিরুদ্ধে অপহরণের ধারায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। সাফাই সাক্ষী দেয়ার পর থেকে আছাফুর আর আদালতে না এসে পলাতক থাকেন।

মামলার সাতজন সাক্ষীর জবানবন্দি ও নথি পর্যালোচনা করে আসামি আছাফুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। মামলার ভিকটিমের ওপর আসামির বর্ণিত অপরাধের ধরণ ও প্রকৃতি বিবেচনায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট বসির আহম্মেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত