ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডিতে উদ্ধার হলো আরেকজনের দেহাবশেষ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ০০:১৭

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডিতে উদ্ধার হলো আরেকজনের দেহাবশেষ
ফাইল ছবি। সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডর বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের এক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর আরও একজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫০ জনে।

সোমবার (৪ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে ডিপোর একটি টিনশেড থেকে মরদেহের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।

ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, বিএম ডিপোর ভেতরে পরিষ্কার করতে গিয়ে একজনের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। টিন শেডের ভেতর থেকে মূলত দেহাবশেষ পাওয়া যায়। শরীরের পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ ছাড়াও মাথার খুলিও পাওয়া গিয়েছে। দেহাবশেষটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান গণমাধ্যমকে জানান, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া ওই দেহাবশেষ ঠিক কতজনের তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের কাছে শুধু দেহের অংশবিশেষ এসেছে। এগুলো পুড়ে যাওয়া মরদেহের কয়েকটি টুকরো। এখানে ঠিক কতজনের দেহাবশেষ রয়েছে তা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না। দেহাবশেষগুলো আগের মরদেহগুলোর সঙ্গে হিমাগারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৫ জুন রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে আগুনের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তোলে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অবশেষে ৮৭ ঘণ্টা পর ৮ জুন দুপুরে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়।

সীতাকুণ্ডের এই ঘটনায় গত ১৩ জুন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। সর্বশেষ সোমবার বিকেলে এই দেহাবশেষ উদ্ধার হলো। এই নিয়ে বলা যায়, সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডিতে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত