ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন ও ১০ বছরের কারাদণ্ড

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ০১:২১

কুষ্টিয়ায় পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন ও ১০ বছরের কারাদণ্ড
ছবি: প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় দায়ের করা বড় ভাবীকে হত্যার দায়ে শুকুর আলী নামে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। এদিকে মিরপুর থানায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় তাজুব্বর মালিথা নামে একজনকে দশ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (০৪ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত (প্রথম) এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে পৃথক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলেন দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব আমদামী ঘাট এলাকার মৃত সাহাজ উদ্দিন শেখের ছেলে শুকুর আলী। ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলেন মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া বাজারপাড়া গ্রামের আকবার মালিথার ছেলে তাজুব্বর মালিথা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের মার্চের ২০ তারিখে আসামী শুকুর আলী পানি না নিয়ে বাথরুমে যান। পরে আসামীর মেয়ে বিথী (৭) এর কাছে বাথরুমে এসে পানি দিতে বললে তার মেয়ে পানি না দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতেপানি না দেয়ার কারণে মেয়েকে গালিগালাজ করতে থাকে। আসামীর বড় ভাবী রওশনা তার মেয়েকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠানে থাকা কোদালের ধারালো পাশের উল্টা পিঠ দিয়ে আসামীর বড় ভাবী রওশনাকে মাথার পিছনে আঘাত করলে গুরুতর জখম হন তিনি এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় একদিন পরে নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে ২০১৩ সালের অক্টোবর ০২ তারিখে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন এবং সাক্ষ প্রদান শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করে আদালত।

অপর দিকে ২০১২ সালের জুনের ১৬ তারিখে মিরপুর থানার পুলিশ অভিযান পরিচালনা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন মিরপুর উপজেলার চিথলিয়ার গিয়াস উদ্দিন পিস্তলের বাড়ীর উত্তর পাশে আম কাঠালের বাগানের মধ্যে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার জন্য অস্ত্র, গুলি ও বোমাসহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে কয়েকজন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ তাদের পিছু ধাওয়া করে তাজুব্বর মাথিলার দেহ তল্লাশী করে একটি দেশীয় অস্ত্র এলজি বন্ধুক এবং কোমরে গোজানো অবস্থায় তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে মিরপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র আইনের মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালত সোমবার এই রায় ঘোষনা করেন।

কুষ্টিয়া কোর্টের সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী পৃথক এ মামলার রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রায় শেষে আসামীদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত