ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মাদকসেবীদের দখলে সালথার ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২২, ১৬:০৯

মাদকসেবীদের দখলে সালথার ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বাউষখালী গ্রামে আনুমানিক ২০০ বছর আগে স্থানীয় যতীন্দ্র নাথ সিংহ নামের এক জমিদার নির্মাণ করেন জমিদার বাড়ি। যা বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী বাবুবাড়ি নামে পরিচিত। দুই বছর আগে আলোচনায় আসে জমিদার বাড়ির দখল নিয়ে। এরপর এই ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি ঘিরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়। বর্তমানে বাড়িটি মাদকসেবীদের দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া, এ মাসের ১১ জুলাই সালথার ২০০ বছরের ঐতিহ্য বাবু বাড়িতে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে বলে স্থানীয়দের দাবি। পরে বাবু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ওই ঘটনা নিয়ে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে ঐতিহ্যবাহী বাবু বাড়ির পুরনো বিল্ডিংগুলো ঘুরে দেখা যায়, গাঁজা ও ভয়ানক ইয়াবাসহ মাদক সেবনের নমুনা। দোতলা ভবনটির প্রতিটি রুমে ও ছাদে মেলে এসব নমুনা।

পুরো বিল্ডিংটিতে সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ আর প্যাকেট চোখে পড়ার মতো। যেখানে-সেখানে মল-মূত্রও ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরিবেশটি যেন মাদকসেবীদের নিরাপদ জায়গা, হয়তো এজন্যই জায়গাটি পছন্দ অনুযায়ী নিয়মিত আড্ডা চলে তাদের।

স্থানীয়রা জানান, এলাকার বখাটেদের এখানে আড্ডা দিতে দেখা যায়। তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলে না। এই বাবু বাড়িটি দখলের জন্য কিছু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টা করছে। বাড়িটির কিছু অংশ রুস্তুম নামে একটি ব্যক্তি ভোগ দখলে নিয়েছেন। তিনি সেখানে বসতঘর গড়ে তুলেছেন।

এ বিষয়ে জমিদার বাড়িটিতে আশ্রমের দায়িত্বে থাকা সেবক শরণার্থী মহারাজ বলেন, এখানে আমি অনিরাপদে থাকি। কাউকে কিছু বলতে পারি না। সন্ধ্যার পরে এলাকার উঠতি বয়সি ছেলেরা আড্ডা দিতে আসে। তাদের ভয়ে ভেতরে গিয়ে দেখা হয় না তারা সেখানে কী করে।

এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা আকতার বলেন, জমিদার বাড়িটি সালথার পুরনো ঐতিহ্য। জমি দখলের ব্যাপারটি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান (সদ্য অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বলেন, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় যতীন্দ্র নাথ সিংহ নামে এক জমিদার অন্তত ২শ বছর আগে এ বাড়িটি নির্মাণ করেন। পরে তার উত্তরসুরী বৈদ্যনাথ বাবু বাড়িটির দখলে ছিলেন। ২০১৪ সালে বৈদ্যনাথ বাবু মারা গেলে ঐতিহাসিক বাড়িটি শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম দেখাশোনার জন্য দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত