ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতি, সর্দারসহ গ্রেপ্তার ৬

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২২, ০৪:০০  
আপডেট :
 ২৬ জুলাই ২০২২, ০৪:১০

পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতি, সর্দারসহ গ্রেপ্তার ৬
ছবি- প্রতিনিধি

পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির সময় দলের সর্দারসহ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সাতক্ষীরার ডিবি পুলিশ।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডাকাত সর্দার শরীফ হাসানুল বান্না ওরফে সুমন বাবুকে সদর উপজেলার বৌ-বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে জানিয়েছে জেলার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে শনিবার তার দলের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ। সেদিন কৌশলে পালিয়ে যায় এই সর্দার।

পুলিশ সুপার জানান, তাদের কাছ থেকে পুলিশের পোশাক, পুলিশের ভুয়া পরিচয়পত্র, বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, এক জোড়া হ্যান্ডক্যাপ, নগদ ৩৩ হাজার টাকা, দুটি মোটরসাইকেলসহ ডাকাতি করার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডাকাত দলনেতা শরীফ হাসানুল বান্না সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নারানজোল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। আটককৃত বাকি ৫ ডাকাত সদস্যরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে সাব্বির হোসেন, পাথরঘাটা গ্রামের মৃত শেখ মোকলেছুর রহমান ওরফে সোন মিয়ার ছেলে শেখ হাফিজুর রহমান ওরফে সাহেব আলী, গোবিন্দকাটি গ্রামের নজরুল মোড়লের ছেলে ইকরামুল মোড়ল, একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম সরদারের ছেলে জাহিদ হোসেন ও কালিগঞ্জ থানার সোনাতলা এলাকার রাশিদুল কারিকর।

পুলিশ সুপার আরও জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার মধুমোল্লারডাঙ্গী এলাকার গরুব্যবসায়ি শেখ আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে রিফাত হোসেন গরু বিক্রির ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের ওয়ারিয়া পূজা মণ্ডপের সামনে আসলে তাদেরকে গতিরোধ করে পুলিশ পরিচয় দেয় একদল ডাকাত। মাদকদ্রব্য থাকার মিথ্যা অভিযোগে তাদেরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। ঝাউডাঙ্গা বাজার পার হয়ে শেখ আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলেকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে মাইক্রোড্রাইভার ও তারা চিৎকার করে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ৫ ডাকাতকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপার্দ করে। সেসময় পালিয়ে যায় দল নেতা শরীফ হাসানুল বান্না।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শেখ আনোয়ারুল ইসলাম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। অবৈধ অস্ত্র জব্দ করায় তাদের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে সদর থানায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) কনক কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসাদুজ্জামান, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক জাহিদ বিন আলম, ডিবি পুলিশের ওসি বাবুল আক্তার প্রমূখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত