ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

২৭ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২২, ১৬:১৪

২৭ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ছবি: প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর বাজার এলাকায় জনৈক বিল্লাল হোসেন ওরফে বিলু খুনের মামলার আব্দুল আজিজ (৫৫) নামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ২৭ বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে নরসিংদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) নোমান আহমদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ নরসিংদীর শিবপুর থানাধীন মৈশাদী গ্রামের আলফাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।

র‍্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ গ্রেপ্তার আজিজ জানিয়েছেন বিলু ও তিনি (আজিজ) পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। বিলু ও আজিজ সেসময় স্থানীয় খলাপাড়া এলাকায় 'ন্যাশনাল জুট মিল'-এ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আজিজের ভগ্নিপতি জনৈক কাদিরের লাউ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বরে সকালে বিলুকে তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আজিজ ও তার সঙ্গীরা প্রকাশ্যে খুন করেন।

এ ঘটনায় ওইদিনেই নিহতের ভাই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় স্থানীয় ফালান, কাদির, ছাদির, কালাম, বাজিত, আ. আজিজ, ওসমান, আ. ছামাদ, হুমায়ুন, রুস্তম আলীসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি আব্দুল আজিজ অন্যদের সঙ্গে আত্মগোপনে থাকায় থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়। পরে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল আদালত বিল্লাল হোসেন বিলুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আব্দুল আজিজসহ সর্বমোট ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

ওই ঘটনার পর থেকে আসামি আব্দুল আজিজ দীর্ঘ ২৭ বছর পলাতক ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জন বর্তমানে জেল হাজতে আটক আছেন এবং একজন জেল-হাজতে মৃত্যুবরণ করেন। অপর তিনজন ফালান, আলম এবং মানিক এখনও পলাতক রয়েছেন।

আব্দুল আজিজ স্ত্রী সবমেহের ওরফে স্বপ্না ও চার সন্তানকে নিয়ে নরসিংদীর শিবপুর থানাধীন মৈশাদী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। ১৯৯৫ সালে ঘটনার পর থেকে আব্দুল আজিজ আর কোনোদিন কালীগঞ্জের নিজ স্থায়ী ঠিকানায় যাননি। এনআইডিতে নিজের ঠিকানা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে নরসিংদীর শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় পরিচয় গোপন করার জন্য পেশা পরিবর্তন করে কাঁচা তরকারির ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত